সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দামামা বেজে গিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে জোর কদমে লড়াইয়ে নেমে পড়েছে বিজেপি। পিছিয়ে নেই ইন্ডিয়া জোটও। গেরুয়া শিবিরকে হারাতে ঘুঁটি সাজাচ্ছে তারাও। প্রচারে নেমেছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীদলগুলোও। এই প্রেক্ষাপটে দেখে নেওয়া যাক আসন্ন নির্বাচনের আগে কোন কোন রাজ্যে উড়ছে গেরুয়া শিবিরের ধ্বজা। কোন কোন রাজ্যের রাশ রয়েছে বিরোধীদের হাতে?
রবিবার কংগ্রেস ও আরজেডির সঙ্গে জোট ভেঙে এনডিএ জোটে যোগ দিয়েছেন নীতীশ কুমার। নবমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথও নিয়েছেন তিনি। নীতীশের এই ‘ডিগবাজি’তে ফের বিহার এসেছে পদ্মশিবিরের হাতে। বর্তমানে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, গুজরাট, গোয়া, অসম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগড়ে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড এবং সিকিমে আঞ্চলিক দলগুলোর সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে রয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ এনডিএ জোটের দখলে মোট ১৭টি রাজ্য।
এদিকে তেলঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশ এবং কর্নাটক হাতে রয়েছে কংগ্রেসের। অর্থাৎ গোটা দেশে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যের সংখ্যা হল তিন। পাঞ্জাব এবং দিল্লিতে ক্ষমতায় রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেস এবং আরজেডির সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় রয়েছে হেমন্ত সোরেনের জেএমএম। তামিলনাড়ু রয়েছে এম কে স্ট্যালিনের ডিএমকে সরকারের হাতে। মিজোরামে ক্ষমতায় রয়েছে লালডুহোমার দল জেডপিএম।
অন্যদিকে, ওড়িশার মসনদে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে নবীন পট্টনায়কের বিজেডি। অন্ধ্রপ্রদেশে ক্ষমতায় রয়েছে জগনমোহন রেড্ডির ওয়াইএসআর কংগ্রেস। কেরলে ক্ষমতায় রয়েছে বাম জোট। এই দলগুলোর মধ্যে বিজেডি, ওয়াইএসআর কংগ্রেস এবং জেডপিএম বিজেপি বিরোধী দল হলেও বিরোধী ইন্ডিয়া জোটে তারা শামিল হয়নি। ফলে ২৮টি রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১১টিতে রইল বিরোধী দলের সরকার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী লোকসভা ভোটের আগে পাল্লা ভারী বিজেপির।