shono
Advertisement

Breaking News

বিহারের জাতিগত জনগণনায় স্থগিতাদেশ পাটনা হাই কোর্টের, বিরোধীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ নীতীশ

এই জাতিগত জনগণনা নীতীশ-বিজেপির বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।
Posted: 04:49 PM May 04, 2023Updated: 04:49 PM May 04, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা এখনই নয়। নীতীশ কুমারের স্বপ্নের কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল পাটনা হাই কোর্ট। আগামী ৩ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। ততদিন পর্যন্ত জাতিগত জনগণনার কাজ এগোনো যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত।

Advertisement

২০১১ সালের পর ২০২১ সালেই দেশের জনগণনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারীর (Coronavirus) জেরে সেই প্রক্রিয়া পিছিয়ে গিয়েছে। এবারের জনগণনার ক্ষেত্রে তফশিলি জাতি (SC) এবং তফশিলি উপজাতি (ST) বাদে অন্য কোনও ক্ষেত্রে জাতপাতের উল্লেখ না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী OBC-দের ক্ষেত্রেও আলাদা আলাদা জাতির উল্লেখ রাখা হবে না। শুধু ওবিসি বলেই উল্লেখ করা হবে। অনেকে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও শুরু থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর দাবি ছিল, এই সেনসাসে প্রতিটি জাতির আলাদা আলাদা উল্লেখ রাখতে হবে। তাতে সরকারি প্রকল্প সব জাতির কাছে সঠিক অনুপাতে পৌঁছে দেওয়া যাবে।

[আরও পড়ুন: রাজ্যের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন ধর্ষণের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র]

কিন্তু কেন্দ্র নীতীশের সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নীতীশ নিজের রাজ্যে আলাদা করে জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন। গত জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। এই জনগণনার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে ১৫ এপ্রিল। শেষ হওয়ার কথা ১৫ মে। তার আগেই বিহারের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঠন এই প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়। তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতেই গোটা জাতিগত জনগণনার প্রক্রিয়ায় সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল পাটনা হাই কোর্ট।

[আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মূল পাণ্ডা মানিক, সুপ্রিম কোর্টে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সিবিআইয়ের]

এভাবে জাতিগত সেনসাস আটকে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে তিনি বলছেন, বুঝতেই পারছি না, সমস্যাটা কোথায়। শেষবার জাতপাতের ভিত্তিতে জনগণনা হয়েছিল ১৯৩১ সালে। বর্তমানে একটা আন্দাজ থাকা প্রয়োজন, কারণ এই সেনসাসে প্রতি ১০ বছর অন্তর অন্তর সংখ্যালঘু, তফসিলি জাতি, উপজাতিদের সংখ্যা জানা প্রয়োজন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement