প্রণব সরকার, আগরতলা: ত্রিপুরার কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পলাতক NLFT-এর শীর্ষ জঙ্গি। মঙ্গলবার সকালে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে চম্পট দেয়। এই প্রথম নয়, এর আগেও দুবার দুটি ভিন্ন জেল থেকে পালিয়েছিল সে। এই ঘটনায় জেলারের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে। যদিও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে পুরো বিষয়টিতে পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে তীব্র জনরোষ তৈরি হয়েছে।
কুখ্যাত NLFT-এর শীর্ষ জঙ্গি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল। তার বিরুদ্ধে গণহত্যা-সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জেল থেকে পালায় সে। এর আগেও ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে বিশালগড় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কাঞ্চনপুর জেল থেকে পালিয়েছিল সে। ঘটনার পর পরই দৌড়ঝাপ শুরু হয় সংশোধনাগারে। ছুটে আসেন সিপাহীজলা জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার-সহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: উত্তর কলকাতায় ভোটপ্রচারে ‘ঘরের ছেলে’ মিঠুন, তাপস রায়ের সমর্থনে রোড শো]
সূত্রের খবর, প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার 'ঘুষে'র ফলেই জেল থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে কুখ্যাত এই জঙ্গি। জেলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলার দেবাশীষ শীলের বিরুদ্ধে জেল থেকে এই জঙ্গির পালিয়ে যাওয়ার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলার দেবাশীষ শীল কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কুখ্যাত জঙ্গি দিন-দুপুরে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।