সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ জানান, নিয়ম মেনে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হয়নি। তাছাড়াও প্রস্তাবে ধনকড়ের নামের বানান ভুল ছিল। এই দুই কারণেই খারিজ করা হল রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব।
সংসদে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। এমনই অভিযোগ তুলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি-সহ ইন্ডিয়া জোটের শরিক অন্যান্য বিরোধী দলগুলি সমর্থন করে এই প্রস্তাব। গত ১০ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় পেশ হয় ধনকড়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব।
বিরোধী শিবিরের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের আসনে বসে লাগাতার পক্ষপাত করে চলেছেন ধনকড়। বিরোধী সাংসদদের কিছু বলার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীরা কথা বলতে উঠতে বার বার বাধা দেওয়া হচ্ছে তাঁদের, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানানো হলেও তা মানা হচ্ছে না। অন্যদিকে, শাসকদলের সাংসদদের সব দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে। লাগাতার এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিরোধী শিবির সংবিধানের ৬৭(বি) ধারায় উপরাষ্ট্রপতি তথা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
কিন্তু মাত্র ৯ দিনের মাথায় সেই প্রস্তাব খারিজ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। বৃহস্পতিবার হরিবংশ জানান, নিয়ম অনুযায়ী অনাস্থা প্রস্তাব পেশের আগে ১৪ দিনের নোটিস দিতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম পালন করা হয়নি। শুধু তাই নয়, পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাবে উপরাষ্ট্রপতির নামের বানানও ভুল ছিল। এই দুই কারণে খারিজ করা হয়েছে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব। হরিবংশের অভিযোগ, উপরাজ্যপালের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করা হয়েছিল। যদিও কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে তিনি ধনকড়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাবতীয় অভিযোগ মেনে নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন উপরাষ্ট্রপতি। তারপরেও কেন এমন কথা বলেছেন রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ।