সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করনে ত্রস্ত ইউরোপ (Europe)। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় একের পর এক দেশে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। মহামারীর প্রকোপ থামাতে ইংল্যান্ডে (England) চার সপ্তাহের লকডাউন জারি করেছিল জনসন সরকার। আগামী ২ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ। কিন্তু এবার আর ইংল্যন্ডে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: অশান্তি পাকানোর ছকে ডোকলামে ফের রাস্তা বানাচ্ছে চিন! প্রমাণ মিলল উপগ্রহ চিত্রে]
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ইংল্যন্ডে কিছুটা হ্রাস পেয়েছে করোনা সংক্রমণের গতি। তাই ২ ডিসেম্বর লকডাউন শেষ হওয়ার পর আর তা বাড়ানো হবে না। বরং সংক্রমণ রুখতে এবার এলাকাভিত্তিক বিধিনিষেধ জারি করা হবে। ইংল্যান্ডে তিন ধরনের বিধিনিষেধ জারি করবে প্রশাসন। অধিকাংশ এলাকাকে সর্বোচ্চ দুই বিধিনিষেধের আওতায় আনা হবে। অন্যত্র জারি থাকবে সাধারণ সতর্কতা। এদিকে, আজ অর্থাৎ সোমবার পার্লামেন্টে করোনা নিয়ে পরিকল্পনার কথা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, পরীক্ষার হার বাড়ানো হবে। টিকাকরণ শুরু না হওয়া পর্যন্ত, কীভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলানো হবে, তাও পার্লামেন্টকে অবগত করবেন বরিস।
ইউরোপে করোনা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কাই যেন সত্যি হচ্ছে। একটা সময় মনে হচ্ছিল COVID-19 নামক মহামারী ইউরোপের দেশগুলি থেকে ধীরে ধীরে বিদায় নিচ্ছে। ধীরে ধীরে কমে আসছিল দৈনিক করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। স্বাভাবিক জীবনে ফেরা শুরু করে দিয়েছিল ফ্রান্স, স্পেন, ইটালির মতো দেশগুলি। তখনই অবশ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছিলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের আঘাত হানতে পারে মারণ ভাইরাস। দ্বিতীয়বার আছড়ে পড়তে পারে এই অতিমারীর ঢেউ। ইউরোপে এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে। তথ্য বলছে ফ্রান্সে ফের হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ফলে ফ্রান্স, ইটালি, স্পেন, জার্মানি-সহ একাধিক দেশ ফের কড়া নিষেধাজ্ঞার পথে হাঁটতে শুরু করেছে।