সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘অসংসদীয়’ শব্দ বিতর্কের মধ্যেই সংসদে নয়া ফরমান। আসন্ন বাদল অধিবেশনে (Monsson Session) সংসদ চত্বরে কোনওরকম বিক্ষোভ, ধরনা বা অনশন করা যাবে না। নয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দিল রাজ্যসভার সচিবালয়।
রাজ্যসভার সচিব পি সি মুদি এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংসদদের জানিয়েছেন, কোনও সদস্য আর সংসদ চত্বরে ধরনা, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অনশন বা কোনওরকম ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ৩৫০০ কিমি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় অন্য বিরোধীদেরও চাইছে কংগ্রেস]
সংসদের (Parliament) বিগত বেশ কয়েকটি অধিবেশনে দেখা গিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে সংসদ ভবনকে ব্যবহার করেছে বিরোধীরা। সে কৃষি আইন হোক, সাংসদদের সাসপেনশন হোক, ইডি-সিবিআইয়ের (ED-CBI) মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার হোক বা মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যু। সবক্ষেত্রেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে উঠে এসেছে সংসদ চত্বর। কখনও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনা, কখনও অনশন করে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে বিরোধী শিবির। আসলে সংসদ ভবনকে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করলে সহজে সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তাছাড়া ঐতিহাসিকভাবেই সংসদভবন ব্যবহৃত হয়েছে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে। কিন্তু এবার বিরোধীদের সেই মঞ্চটিও কেড়ে নিতে চাইছে সরকারপক্ষ।
[আরও পড়ুন: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ৩৫০০ কিমি ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় অন্য বিরোধীদেরও চাইছে কংগ্রেস]
ইতিমধ্যেই সংসদের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে কংগ্রেস। বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করে বলেছেন, এটা বিশ্বগুরুর (পড়ুন মোদির) নতুন ফরমান। ডরনা (ধরনা) মানা হ্যায়…। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন অন্য কংগ্রেস নেতারাও।
প্রসঙ্গত, বাদল অধিবেশনের আগে ইতিমধ্যেই শব্দ ‘ফতোয়া’ জারি হয়েছে সংসদে (Parliament)। একগুচ্ছ শব্দতালিকা প্রকাশ করেছে লোকসভার সচিবালয়। আর বলা যাবে না ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘নাটক’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘অযোগ্য’, ‘ভণ্ডামি’র মতো শব্দ। কেন? কারণ মোদি (Narendra Modi) সরকারের সচিবালয়ের মতে এগুলি ‘অসংসদীয়’ শব্দ। এই ঘটনায় একযোগে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। কংগ্রেস (Congress) থেকে তৃণমূল (TMC) সকলেরই বক্তব্য, আদতে বিরোধী কণ্ঠরোধ করাই সরকারের উদ্দেশ্য।