সোম রায়, নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশের পর এবার দিল্লিতে দুর্গাপুজো আয়োজন নিয়ে তৈরি হল জটিলতা! খোলা স্থানে জমায়েত নিষিদ্ধ। করোনার সংক্রমণ কমাতে এমন নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। আর সেই পরিপ্রেক্ষিতেই প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজো আয়োজন নিয়ে জট সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্যান্ডেল তৈরি করে পুজো করার অনুমতি হয়তো পাবেন না পুজো (Durga Puja) উদ্যোক্তারা।
কোভিডবিধি মেনেই বাংলায় দুর্গাপুজো আয়োজনের অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমেও এবার উৎসবে কাটছাঁট করা হচ্ছে সংক্রমণ ঠেকাতে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিমা পুজো না করে এবার ঘটপুজো করারই পরামর্শ দিয়েছেন। এরই মধ্যে আবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়ে দিয়েছিলেন, করোনা কালে প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজো করা যাবে না। এতে সংক্রমণের ভয় বাড়বে। ইচ্ছা করলে বাড়িতেই পুজোর আয়োজন করা যেতে পারে। তবে কোভিডবিধি মেনে রামলীলা আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি। যদিও তাঁর সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেন বিরোধীরা। শেষমেশ নিজের দলের নেতাদের অনুরোধ ও বিরোধীদের সমালোচনার পর সিদ্ধান্ত বদলান যোগী। জানিয়ে দেন, নির্দিষ্ট গাইডলাইন মেনে পুজো করা যাবে। কিন্তু এবার খোলা স্থানে পুজো আয়োজন নিয়ে উলটো পথেই হাঁটছে দিল্লি।
[আরও পড়ুন: নয়া রেকর্ড মোদির, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতার অলিন্দে কাটালেন দু’দশক]
জানা গিয়েছে, প্যান্ডেল করে প্রতিমা পুজোর অনুমতি পাচ্ছে না পুজো কমিটিগুলি। পাশাপাশি রাজধানীর যে সব বিখ্যাত মন্দিরে পুজো হয়, সেখানে প্রতিমার উচ্চতা কম রেখে করোনাবিধি (Coronavirus) মেনে পুজো করা যাবে। তাও মন্দির কমিটি ও পুজোর আয়োজক ছাড়া বাকিদের প্রবেশ সেখানে নিষিদ্ধ। বাড়িতে দুর্গাপুজো করার ক্ষেত্রে অবশ্য কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। এককথায় উৎসবে একেবারেই জৌলুসহীন রাজধানী। তবে পুজো ফেরাতে উদ্যোগী কমিটিগুলি। ইতিমধ্যেই স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও করেছে। যাতে ঘটপুজোও অন্তত করা যায়, সেই অনুমতি দেওয়ার আরজি জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। এখন দেখার, দিল্লি কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছায়।
এদিকে এদিনই আনলক ফাইভের গাইডলাইন ঘোষণা করল আপ সরকার। ১৫ অক্টোবর থেকে ৫০ শতাংশ আসন নিয়ে খুলবে সিনেমা হল। খুলবে সমস্ত সাপ্তাহিক বাজারও।