সাংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে গ্যাস হামলার পরদিনই লোকসভা থেকে সাসপেন্ড ১৩ জন সাংসদ! রাজ্যসভা থেকেও সাসপেন্ড তৃণমূলের (TMC) ডেরেক ও’ব্রায়েন। স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, সংসদে হামলার প্রতিবাদ করায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার দাবি, ব্যাপারটা তেমন নয়। লোকসভা থেকে ১৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করার সঙ্গে সংসদে গ্যাস হামলার কোনও সম্পর্ক নেই।
ওম বিড়লা শনিবার লোকসভা সাংসদদের (Lok Sabha Election) চিঠি দিয়ে দাবি করেছেন, সংসদে হামলার প্রতিবাদ করায় নয়। ওই ১৩ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সংসদের মর্যাদা রক্ষার তাগিদে। লোকসভার স্পিকার বলছেন, অনেক রাজনৈতিক দল দেখছি সাংসদদের সাসপেনশনের সঙ্গে লোকসভায় গ্যাস হামলাকে জুড়ে দেখাতে চাইছে। এটা রাজনৈতিক অপচেষ্টা। তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে সংসদের মর্যাদাহানির জন্য। ওম বিড়লার অনুরোধ, এ বিষয়ে রাজনীতি করা উচিত নয় বিরোধীদের।
[আরও পড়ুন: সংসদে গ্যাস হামলার পরই কলকাতার NGO কর্মীকে ভিডিও পাঠায় ললিত! ঘনাচ্ছে রহস্য]
স্পিকার জানিয়েছেন, সংসদে হামলার বিষয়ে তিনিও উদ্বিগ্ন। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল সেটা খুঁজে বের করার জন্য একটি উচ্চ স্তরীয় তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। ওই কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। শীঘ্রই রিপোর্ট দেবে। শুধু তাই নয়, সংসদ চত্বরে নিরাপত্তার কোনও খামতি থাকল কিনা সেটা খতিয়ে দেখতেও আলাদা একটি কমিটি গড়া হবে।
[আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে পালিয়ে নমাজ পড়তে যাওয়া! ভিনরাজ্য থেকে ৯ নাবালককে উদ্ধার করল RPF]
বুধবার সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে দুই ব্যক্তির হানা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আলোচনার দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরা। যার জেরে সাসপেন্ড হয়েছেন মোট ১৪ জন বিরোধী সাংসদ। এদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের (Congress), দুজন সিপিএমের, একজন ডিএমকের, তৃণমূলের একজন এবং একজন সিপিআইয়ের (CPI)।