সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙা চেয়ার-টেবিল, প্রায় রং উঠে যাওয়া ব্ল্যাকবোর্ড, অস্বাস্থ্যকর মিড ডে মিল আর পুরনো কিংবা ছেঁড়া জামাকাপড় পরা কিছু পড়ুয়া। দেশের অধিকাংশ সরকারি স্কুলের এমনটাই চালচিত্র। হাল ফেরাতে পরিকল্পনা অবশ্য প্রচুর নেওয়া হয়। কিন্তু বেশিরভাগই লালফিতের ফাঁসে আটকে থাকে। এর বিরুদ্ধেই সাত মাস আগে সরব হয়েছিল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট। রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল, অবিলম্বে সমস্ত স্কুলে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাগুলি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
পড়ুয়াদের প্রাথমিক সুযোগ-সুবিধার দাবিতে হাই কোর্টে আবেদনটি জানিয়েছিলেন দীপক রাণা নামে এক সমাজকর্মী। তাঁর দাবি ছিল, প্রত্যেক স্কুলে যেন ছাত্র-ছাত্রীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সুনিশ্চিত করা হয়। তাদের বসার জন্য পর্যাপ্ত টেবিল-চেয়ার ও লাইটের ব্যবস্থা যেন থাকে। পড়ানোর জন্য ব্ল্যাকবোর্ড ও প্রত্যেকের জন্য যেন স্বাস্থ্যকর মিড ডে মিলের ব্যবস্থাও যেন থাকে। এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকারকে।
[কাশ্মীরে ডিএসপির নির্মম হত্যার জন্য বিজেপি-পিডিপি সরকারকে দুষলেন রাহুল]
কিন্তু সাত মাস কেটে গেলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই নয়া ফরমান জারি করেছে বিচারপতি রাজীব শর্মা ও অলোক সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। যতদিন না রাজ্যের পড়ুয়ারা স্কুলে ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধাগুলি পাচ্ছে, ততদিন নেতারা নিজেদের জন্য কোনও দামি জিনিস কিনতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। বিশেষ করে যেগুলি বিলাসিতার জন্য ব্যবহার করা হয়। উদাহরণ হিসেবে দামী আসবাবপত্র ও এয়ার কন্ডিশন মেশিনের কথা উল্লেখ করা হয়।
হাই কোর্টের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। অনেকেই বাকি রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও এই ব্যবস্থা প্রচলনের জন্য সওয়াল করেছেন।
[মক্কায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ছক বানচাল]
The post ‘স্কুলে চেয়ার-টেবিল না দিতে পারলে নেতারাও দামী জিনিস কিনতে পারবেন না’ appeared first on Sangbad Pratidin.