বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দেশের ইতিহাসে বাংলার মহিলাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তা সমাজ পরিবর্তন হোক বা স্বাধীনতা সংগ্রাম। রাজনীতি হোক কিংবা সমাজনীতি। বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি। ক্রীড়া জগতে হোক কিংবা শিক্ষা, সংগীত হোক কিংবা সিনেমা জগতে বাঙালি মহিলাদের অবদান সর্বজনবিদিত।
অথচ সংসদে মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনায় গেরুয়া শিবির কোনও বাঙালি সাংসদকে বক্তার তালিকায় না রাখায় ক্ষোভ বঙ্গ ব্রিগেডে। কয়েক জন বক্তার বক্তব্যে সরোজিনী নাইডু, মাতঙ্গিনী হাজরা, গীতা মুখোপাধ্যায় বা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অবদানের প্রসঙ্গে এলেও বাদ থেকে গেল দীর্ঘ তালিকা। বাংলার সাংসদরা বক্তব্য রাখার সুযোগ পেলে নামের তালিকা আরও দীর্ঘ করা যেত। সেই সুযোগ হাতছাড়া হলো বলে স্বীকার করেন বাংলার এক বিজেপি (BJP) সাংসদ। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও দলের দলের এহেন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ বঙ্গের গেরুয়া সাংসদরা। বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বঙ্গ শিবিরের সাংসদরা।
[আরও পড়ুন: ‘ভারত থেকে কূটনীতিকের সংখ্যা কমিয়ে দিন’, কানাডাকে প্রচ্ছন্ন বার্তা বিদেশ মন্ত্রকের]
সংসদে মহিলা প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর বিষয় নিয়ে যখন আলোচনা হচ্ছে, তখন বিজেপির তালিকায় ব্রাত্য থেকে গেলেন বাঙালি সাংসদরা। এক জনকেও বক্তা তালিকায় রাখেনি গেরুয়া শিবির। অথচ বঙ্গ ব্রিগেডের তরফে সরকার পক্ষের সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর কাছে নাম জমা দেওয়া হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ঠিক যেন থ্রিলার! NIA’র ওয়ান্টেড লিস্ট প্রকাশ হতেই কানাডায় ‘খুন’ খলিস্তানি]
বিষয়টি নিয়ে বাংলার সাংসদদের তরফে সংসদীয় দলের শীর্ষনেতৃত্বের কাছে উষ্মাপ্রকাশ করা হয় বলেও সূত্রের খবর। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলার এক বিজেপি সাংসদ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, “এই ঘটনায় অস্বস্তি বাড়িয়েছে। বিরোধীরা বিষয়টিকে ইস্যু করতেই পারে। সেক্ষেত্রে বাংলায় সমালোচিত হতে হবে। শীর্ষনেতৃত্বের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।”