সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছরের শেষলগ্নে নতুন করে মাথাচাড়া দেয় করোনার নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্ট। যার জেরে জোর দেওয়া হয় প্রিকশন বা বুস্টার ডোজে। কিন্তু মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কি ভ্যাকসিনের চতুর্থ ডোজ নেওয়াও জরুরি? এ প্রশ্নের উত্তর দিলেন আইসিএমআরের প্রাক্তন প্রধান ডা. রমন গঙ্গাখেড়কর।
তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে আপাতত কোভিডের (Corona vaccine) চতুর্থ ডোজের প্রয়োজন নেই। তিনটি ডোজই করোনা ও তার ভ্যারিয়েন্টগুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্ষম। ডা. গঙ্গাখেড়করের কথায়, “বর্তমানে এই ভাইরাসের একাধিক ভ্যারিয়েন্ট আমরা দেখেছি। তবে তা থেকে সুরক্ষিত থাকতে এখনই চতুর্থ ডোজের দরকার নেই। এর পিছনে অনেকগুলি কারণও আছে। এই মুহূর্তে যে সমস্ত ভ্য়াকসিন আছে, সেসবের চোখে ধুলো দিয়ে ভাইরাস নিজের ভোলবদলে ফেলছে। যার ফলে শরীরে সংক্রমণ হচ্ছে। তবে করোনার মূল চরিত্রের বিশেষ বদল ঘটেনি। সেই কারণেই এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে ভ্যাকসিনের ডোজ নেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।”
[আরও পড়ুন: সাতমাস ধরে ভাইদের ধর্ষণের জেরে অন্তঃসত্ত্বা ১১ বছরের কিশোরী, জন্ম দিল সন্তানের, তারপর…]
প্রাক্তন আইসিএমআর (ICMR) প্রধানের পরামর্শ, যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের এখনও সতর্ক থাকার বিশেষ প্রয়োজন। অর্থাৎ তাঁদের এখনও মাস্ক পরা কিংবা স্যানিটাইজার ব্যবহারের অভ্যাস চালিয়ে যেতে হবে। তাঁর দাবি, আর হয়তো SARS-COV2-এর পরিবারের নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট আসবে না। নয়া ভাইরাস মাথাচাড়া দিলে, তা সম্পূর্ণ নতুন ভ্যারিয়েন্ট হবে। তবে এখনই এ নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।
তবে কোভিড ভ্যাকসিনের জোড়া ডোজের পাশাপাশি বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়টিও সুনিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় বুস্টার ডোজ নেওয়ায় বিশেষ আগ্রহ দেখাননি দেশের একটা বড় অংশের মানুষ। তবে ডা. গঙ্গাখেড়কর মনে করছেন, যাঁরা মাঝেমধ্যে সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাঁদের প্রিকশন ডোজ নেওয়া থাকলে প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে।