গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালি নিয়ে জনস্বার্থ মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দ্রুত শুনানি এখনই সম্ভব নয়। দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মামলাকারী সংযুক্তা সামন্ত।
সন্ত্রস্ত সন্দেশখালিতে মহিলারা নির্যাতনের শিকার বলেই অভিযোগ উঠেছে। শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগও সামনে এসেছে। পুলিশের উপরেও সন্দেশখালির বাসিন্দাদের আস্থা নেই বলেই অভিযোগ। তাই মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারী সংযুক্তা সামন্ত। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে দ্রুত শুনানির আর্জিও জানানো হয়। তবে সোমবার দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ করে দেয় হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী সন্দেশখালি যাননি। তিনি সেখানকার বাসিন্দাও নন। তাই তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির এখনই দরকার নেই।
[আরও পড়ুন: ‘কাঞ্চন আমাকে ভালো সামলাবে’, ৫৩-র তারকা বিধায়ককে বিয়ে করেই ট্রোলের জবাব শ্রীময়ীর]
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’ শেখ শাহজাহানের খোঁজে গ্রামে যান ইডি আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। ঠিক তার পরই শাহজাহানের বাড়ির অদূরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হামলার শিকার হন। সেই সময় থেকেই শিরোনামে সন্দেশখালি। সম্প্রতি শাহজাহান এবং তার দুই শাগরেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সরব হন স্থানীয় মহিলারা। কেউ তুলেছেন শ্লীলতাহানির অভিযোগ। আবার কেউ তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে জমি লুটপাট, ভেড়ি দখলের অভিযোগ তুলছেন। ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন সন্দেশখালির অধিকাংশ বাসিন্দা। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সোচ্চার তাঁরা।