ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আইকোর মামলায় হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ উঠল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শোনা যাচ্ছে, এখনও সিবিআই নোটিসের কোনও উত্তরও দেননি তিনি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের মহাসচিব দাবি করলেন, তিনি এখনও কোনও নোটিসই পাননি।
গত শুক্রবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) নোটিস পাঠানো হয় সিবিআইয়ের তরফে। জানা যাচ্ছে, আজই কলকাতায় সিবিআইয়ের সদর দপ্তরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। আইকোর মামলার তদন্তে নেমে অনুকূল মাইতিকে জেরা করে একাধিক তথ্য পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা করার কথা ছিল। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় আজ যাচ্ছেন না বলেই জানা গিয়েছে। এবিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি এখনও কোনও নোটিস হাতে পাননি। পেলে অবশ্যই উত্তর দেবেন। তবে তৃণমূলের মহিসচিবের হাজিরার তারিখ নিয়েও জটিলতা রয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ২৪ তারিখ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এদিকে সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় নোটিসের কোনও উত্তর দেননি। সেই কারণে ফের তাঁকে নোটিস পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘খেলবই না’, তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে তাচ্ছিল্য বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়র]
এদিকে আজ অর্থাৎ সোমবার কয়লা কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকার স্বামী ও শ্বশুর। এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ সিবিআইয়ের কলকাতার সদর দপ্তরে পৌঁছন অঙ্কুশ অরোরা ও পঙ্কজ অরোরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কয়লা কাণ্ডের তদন্তে প্রয়োজনীয় একাধিক তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, কয়লা কাণ্ডে অভিষেক-পত্নী রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরের দিনই তাঁর বোন মেনকা গম্ভীরকে জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। পরবর্তীতে মেনকার স্বামী ও শ্বশুরকেও নোটিস পাঠানো হয়। অন্যদিকে, সোমবারই সারদা মামলায় ইডির দপ্তরে হাজিরা দিলেন শিল্পী শুভাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, তাঁর কাছে আধার কার্ড ও আইটি রিটার্ন ফাইল চেয়েছেন তদন্তকারীরা।