shono
Advertisement

Russia-Ukraine War: এখনই থামছে না যুদ্ধ! রাশিয়া-ইউক্রেনের ৫ ঘণ্টার বৈঠক নিষ্ফলাই

দ্বিতীয় দফা আলোচনায় রাজি দু'পক্ষ।
Posted: 11:15 PM Feb 28, 2022Updated: 11:23 PM Feb 28, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেলারুশে টানা ৫ ঘণ্টা বৈঠক শেষেও মিলল না যুদ্ধবিরতির রফাসূত্র। তাই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) এখনই থামবে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।। বরং দু’পক্ষই দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে বলে রুশ সংবাদমাধ্যম স্পুটনিক সূত্রের খবর। তবে বৈঠক শেষ হতেই ফের রাশিয়া ফের হামলা চালিয়েছে বলে খবর। এদিকে রাষ্ট্রসংঘে জরুরিভিত্তিক সাধারণ সভা শুরু হয়েছে। যেখানে রাশিয়ার প্রতিনিধি দাবি, ইউক্রেন দখলের কোনও পরিকল্পনা নেই মস্কোর। 

Advertisement

ইউক্রেনে রুশ সেনার দাপাদাপির মধ্যেই বেলারুশ সীমান্তে বৈঠকে বসে যুযুধান দু’পক্ষ। বৈঠকের শুরুতেই একাধিক দাবি জানিয়েছিল কিয়েভের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি ছিল, এখনই রুশ আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। ইউক্রেন থেকে প্রত্যাহার করতে হবে সেনা। আলোচনা চলাকালীনও ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল এই দাবি জানিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। শুধু তাই নয়, ক্রিমিয়া এবং ডনবাস (ডোনেৎস্ক এবং লুহান্সক) এলাকাকেও রুশ সেনামুক্ত করতে হবে বলেও সুর চড়িয়েছে ইউক্রেন। পালটা মস্কোর দাবি, ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত হতে পারবে না ইউক্রেন। রাশিয়ার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। শর্ত পালটা শর্তে দু’পক্ষ রাজি হয়েছে কিনা তা এখনও অজানা। এখনই যুদ্ধবিরতি হচ্ছে কিনা তাও স্পষ্ট নয়।

 

[আরও পড়ুন: এবার কি রাশিয়ায় হামলার ছক আমেরিকার? মার্কিনিদের দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশ]

স্পুটনিক সূত্রে খবর, দুই প্রতিনিধি দলই আলোচনা শেষে ফিরে গিয়েছেন। তবে আরও একদফা বৈঠকে রাজি দু’পক্ষই। বেলারুশ-পোলান্ড সীমান্তে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে আলোচনা চলাকালীন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাঁক্রোর কথা হয়। যেখানে যুদ্ধ থামানোর কথা জানিয়েছেন পুতিন। তবে রাশিয়ার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। মুখে যখন যুদ্ধ থামানোর কথা বলছেন পুতিন, ঠিক সেই সময় দেশের পারমাণবিক অস্ত্র ও বাহিনীকে ‘অ্যালার্ট’ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বেলারুশ নিজেদের সীমান্তে রুশ আণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ছাড়পত্রও দিয়ে দিয়েছে। অবশ্য বৈঠক চলাকালীনও ইউক্রেনের খারকভ শহরে হামলা চালিয়েছ রুশ বাহিনী। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

 

[আরও পড়ুন: গাড়ি চালানো শিখতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে বীরভূমের ‘বাদাম কাকু’, ভরতি হাসপাতালে]

আবার একের পর এক পশ্চিমী দেশ ও সংগঠন রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে শুরু করেছে। ক্রেমলিনের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে কোথাও কোথাও। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে দেশের নাগরিকদের বিদেশে টাকা পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে মস্কো। পরিশেষে বলাই যায়, পঞ্চমদিনের শেষে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল হল। ৫ ঘণ্টার আলোচনা শেষেও মিলল না রফাসূত্র। তবে রাষ্ট্রসংঘের জরুরিকালীন সাধারণ সভায় রাশিয়াকে নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়, সেটার দিকেই তাকিয়ে গোটা বিশ্ব।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement