সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: লকডাউনের মাঝেই নিয়ম কিছুটা শিথিল করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে অটো চলাচল। তবে যাত্রী নেই। করোনা সংক্রমণ যত বাড়ছে, তত কমছে যাত্রী সংখ্যা। বাধ্য হয়ে এখন পেশা বদলের ভাবনা ভাবতে হচ্ছে অটো চালকদের।
২৭ মে থেকে অন্যান্য গণ পরিবহণের সঙ্গে দুর্গাপুরেও চালু হয়েছে সিএনজি (CNG) অটো পরিষেবা। দু’মাস বন্ধ থাকার পর রোজগারের আশায় সেদিন ভোর থেকেই নির্দিষ্ট স্ট্যান্ডে চলে আসেন অটো চালকরা। কিন্তু দিনের শেষে সেই প্রায় খালি হাতেই ফিরতে হয় বাড়ি।
যাত্রী নেই। থাকলেও ভাড়া শুনে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। অটোয় সওয়ার হতে পারবেন মাত্র ২ জন যাত্রী। তাতে রিজার্ভের ভাড়ায় নিতান্ত বাধ্য না হলে যেতে রাজি নয় কেউই। ফলে যা হওয়ার, তাই হচ্ছে। পকেট সেভাবে ভরছে না অটো চালকদের।
[আরও পড়ুন: আমফান-করোনার জোড়া ফলায় বিদ্ধ মাতলা চরের বাসিন্দারা, পাশে দাঁড়াচ্ছে যুবসমাজ]
দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আতঙ্কও। জরুরি কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষজন। আবার মিনিবাস, বেসরকারি বাসও বন্ধ। ফলে আরও কমেছে যাত্রী সংখ্যা। শপিং মল, সিনেমা হল, রেস্তরাঁ, আদালত, অফিস, স্কুল-কলেজ অনেক কিছুই বন্ধ। বহু অফিস চালু হলেও হাতে গোনা কর্মী নিয়ে তা চলছে। লকডাউনের কারণে সন্ধের পর বন্ধ বাজার-হাটও। দুপুর গড়াতেই তাই জনশূন্য হয়ে পড়ছে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল। সরকারি বাসও ভুগছে ‘যাত্রীহীনতা’য়।
[আরও পড়ুন: ত্রাণ দিতে যাওয়ার পথে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাধা পুলিশের, বিক্ষোভে উত্তাল বারুইপুর]
শুক্রবার দুর্গাপুরে প্রায় ২৫০০ অটোর মধ্যে মাত্র ৬ শতাংশ অটো রাস্তায় নেমেছে। দিনের পর দিন এই অবস্থা চলতে থাকলে অটো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না বলে মনে করছেন ‘দুর্গাপুর সিএনজি অটো অপারেটর্স ইউনিয়ন’এর সম্পাদক প্রদীপ বিশ্বাস। প্রদীপবাবু বলেন, “খুব আশা নিয়ে ফের অটো বের করেছিলাম। কিন্তু যত করোনা
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, ততই কমছে যাত্রী সংখ্যা। হতাশ হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়ি। এই অবস্থা চলতে থাকলে অনেকেই অন্য পেশায় চলে যাবেন। ইতিমধ্যেই বহু অটো চালক অন্য পেশাতে চলেও গেছেন। দুর্গাপুরে হয়ত বন্ধই হয়ে যাবে সিএনজি অটো পরিষেবা।”
The post লকডাউনে যাত্রীর অভাব, ক্ষতির মুখে পড়ে পেশা বদলের ভাবনা অটো চালকদের appeared first on Sangbad Pratidin.