সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯/১১ হামলার নেপথ্যে হাত ছিল না তৎকালীন আল কায়দা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের। এবার এমন আজব দাবি করল তালিবান (Taliban)। শুধু তাই নয়, জেহাদি সংগঠনটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ আরও দাবি করেছে যে আফগানিস্তানে হানা দিতে টুইন টাওয়ার হামলাকে হাতিয়ার করেছিল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ‘কাজে যাওয়ার প্রয়োজন নেই’, আফগান মহিলাদের তালিবানি ফতোয়া]
NBC News-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলে, “২০ বছরের যুদ্ধের পরও ২০০১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার হামলায় লাদেনের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ নেই। এই যুদ্ধের পক্ষে কোনও বৈধ যুক্তি নেই। এটা আমেরিকার জন্য হামলা চালানোর (আফগানিস্তানে) অছিলা মাত্র ছিল।” মার্কিন হানায় নিহত লাদেনের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে তালিবান মুখপাত্র আরও বলে “লাদেন যখন আমেরিকার কাছে একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সে তখন আফগানিস্তানেই ছিল। কিন্তু লাদেনই যে আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এবং পেন্টাগনে হামলা চালিয়েছিল, তালিবান সেই তথ্য মানে না।”
১৫ আগস্ট কাবুল দখলের পর থেকে বিশ্বের কাছে রীতিমতো চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে তালিবান। আফগানভূম ফের সন্ত্রাসবাদীদের চারণভূমিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছে ভারত, আমেরিকা-সহ বিশ্বের প্রায় সমস্ত দেশই। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মুজাহিদ জানান, আফগানিস্তানের মাটিতে সন্ত্রাসবাদ বাড়তে দেবে না তালিবান। মহিলাদের সুরক্ষা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সে বলে, “আমরা মহিলাদের সম্মান করি। তাঁরা আমাদের বোন। তাঁদের ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং আমাদের উপর তাঁদের গর্ব হওয়া উচিত কারণ আমরা দেশের জন্য লড়াই করছি।”
উল্লেখ্য, টুইন টাওয়ার হামলার পর লাদেনকে আমেরিকার হাতে তুলে দিতে রাজি হয়নি তালিবান। তারপরই সে দেশে ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে’ লড়াই শুরু করে ওয়াশিংটন। আর মার্কিন ফৌজের সঙ্গে যোগ দেয় পাকিস্তান (Pakistan)। তবে পাক সেনার সঙ্গে তালিবান-সহ প্রায় সমস্ত জেহাদি সংগঠনগুলির যোগ রয়েছে তা সবার জানা। ৯/১১ হামলার পর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াইয়ে একপ্রকার ভয় দেখিয়ে ইসলামাবাদকে শামিল করেছিল জর্জ বুশ প্রশাসন। আফগানিস্তান থেকে তালিবানকে উৎখাত করতে আমেরিকার কৌশলগত প্রয়োজন মেটাতে বাধ্য হয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাশাসক পারভেজ মুশারফ। কিন্তু দেশটিকে কখনও বিশ্বাস করেনি আমেরিকা বলে নিজের লেখা বইয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রসিডেন্ট বারাক ওবামা।