সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন বছর উদযাপনে বেপরোয়া আমজনতা। এর জেরে বড়সড় দুর্ঘটনা জার্মানিতে। বাজি বিস্ফোরণে মৃত্য হয়েছে কমপক্ষে ৫ জনের। আহত হয়েছেন অনেকে। ইউরোপের দেশটিতে ব্যক্তিগত ভাবে বাজি ফাটানো নিষেধ করা হয়েছিল। সেই নিষেধকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আতসবাজি ফাটায় মানুষ। বাজি উদ্ধার করতে গিয়ে, রাস্তায় জনতার উচ্ছৃঙ্খলতা রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন পুলিশকর্মীরা। মোট ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩৩০ জনকে।
জার্মানিতে নববর্ষ উদযাপনে আতসবাজির ব্যবহার একটি পুরনো প্রথা। যদিও এই কারণে প্রতিবছর অনেক মানুষ আহত হয়। পাশাপাশি বায়ু ও শব্দদূষণ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন পরিবেশবিদরা। এরপরেও আতসবাজি নিষিদ্ধ করা নিয়ে অনেকের আপত্তি রয়েছে। এই অবস্থায় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার রাত অবধি বেপরোয়া ভাবে আতসবাজি ফাটানো চলে দেশের বিভিন্ন প্রদেশে। তাতেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অহতের সংখ্যা অসংখ্য। এছাড়াও ৩১ ডিসেম্বর রাতেই রাস্তায় নেমে উচ্ছৃঙ্খলতা শুরু করে একদল মানুষ। এমন ৩৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই কাজ করতে গিয়ে ১৩ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন।
জার্মান পুলিশ জানাচ্ছে, নর্থ রাইন-ওয়েস্টফেলিয়ার পাডারবোর্ন এলাকায় ২৪ বছরের যুবকের মৃত্যু হয়েছে আতসবাজি বিস্ফোরণে। স্যাক্সনি অঞ্চলের ওসচাটজে ৪৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি ‘পাইরোটেকনিক বোমা’ ফাটানোর সময় মারা যান। একই অঞ্চলের হার্থা শহরে ৫০ বছর বয়সি ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ত্তরের হামবুর্গের কাছে ২০ বছর বয়সী এক যুবক আতশবাজি জ্বালানোর সময় প্রাণ হারান। পাশাপাশি বার্লিনের নিকটবর্তী ক্রেমেনে আরেক ব্যক্তি পাইরোটেকনিক্সের ‘অপর্যাপ্ত ব্যবহারের’ ফলে মারা যান।