সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবানে কি শুদ্ধিকরণের ছায়া? তালিবান (Taliban) মুখপাত্রের সাম্প্রতিক টুইটে যেন তারই ইঙ্গিত। গত আগস্টে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করেছে জেহাদিরা। প্রথম দিকে আগের থেকে সহিষ্ণু হয়ে ওঠার আশ্বাস দিলেও অচিরেই পরিষ্কার হয়ে যায়, তালিবান আছে তালিবানেই। এর মধ্যে অন্যতম, কেউ অপরাধী সাব্যস্ত হলেই প্রকাশ্যে তাকে হত্যা করা। কিন্তু সম্প্রতি তালিবান দাবি করল, তারা আপাতত এই ধরনের শাস্তিদান থেকে সরে আসাই মনস্থির করেছে।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ টুইটারে একটি পোস্টে লিখেছে, ”জনসমক্ষে শাস্তি ও দেহ ঝুলিয়া রাখার মতো পদক্ষেপ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে, যতদিন না সেদেশের সুপ্রিম কোর্ট তা করার জন্য কোনও নির্দেশ দিচ্ছে। ” সেই সঙ্গে সে আরও জানিয়েছে, ”যদি অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে সেই সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে কেন অপরাধীকে এই শাস্তি দেওয়া হল।”
[আরও পড়ুন: নরওয়েতে তীর-ধনুক নিয়ে হামলা, ‘সন্ত্রাসবাদী হানায়’ মৃত অন্তত ৫]
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন হঠাৎ তালিবানের এই ভোলবদল? আসলে আন্তর্জাতিক আঙিনায় স্বীকৃতি পেতে মরিয়া জেহাদিরা। এদিকে তাদের এই ধরনের জনসমক্ষে শাস্তিদানের মতো বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে সম্প্রতি সরব হয়েছে আমেরিকা। এই ধরনের আচরণকে মানবতাবিরোধী বলে আক্রমণ শানিয়েছে ওয়াশিংটন।
ক্ষমতা দখলের পর থেকেই ধীরে ধীরে স্বমহিমায় ফিরেছে তালিবান। বিভিন্ন অপরাধে হাত-পা কেটে ফেলা, শিরশ্ছেদের মতো শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছে তালিবান নেতৃত্ব। গত মাসে চার অপহরণকারীকে হত্যা করে তাদের দেহ প্রকাশ্যে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দিতে দেখা গিয়েছিল তালিবানকে। সেই দৃশ্য দেখে শিউরে উঠেছিল বিশ্ব। এমনকী, কাবুল দখল করার আগে যখন একে একে আফগানিস্তানের বিভিন্ন প্রদেশ দখল করছে তালিবান, সেই সময় এক কৌতুকশিল্পীকে মানুষকে হাসানোর ‘অপরাধে’ মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছিল তারা। অবশেষে এই ধরনের বর্বরতা থেকে সরে আসার কথা জানাল তালিবান। এখন দেখার এটাই, জেহাদিরা আদৌ কথা রাখে কিনা।