সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অ্যান্টিগা ছেড়ে কিউবায় পালিয়েছেন ওয়ান্টেড হিরে ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি! ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র থেকে আচমকা নিখোঁজ হওয়া পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম অভিযুক্তকে নিয়ে চলছে এমন জল্পনাই।
[আরও পড়ুন: বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউস, জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন বাইডেন]
মঙ্গলবার অ্যান্টিগা ও বারবুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, মেহুল চোকসি (Mehul Choksi) দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আর মাত্র ৩৬ ঘণ্টায় অ্যান্টিগা থেকে নৌকায় চেপে কিউবা পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে জল্পনা উসকে এই বিষয়ে তিনি বলেন, “যদি কোনওভাবে মেহুল দেশ ছেড়ে পালিয়ে থাকেন তবে তা নৌকা চেপেই সম্ভব হয়েছে। কারণ প্লেনে করে গেলে বিমানবন্দরেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যেত। তিনি যদি পালিয়ে থাকেন, তাহলে তাঁর অনুপস্থিতিতে আমরা মামলা চালাব এবং তাঁর নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হবে।” বলে রাখা ভাল, গত সোমবার থেকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না মেহুলকে। এদিকে, অ্যান্টিগা ও বারবুডায় তাঁর বিরুদ্ধে দু’টি মামলা চলছে। একটি হল, ভারতে প্রত্যর্পণের মামলা। অন্যটি হচ্ছে ক্যারিবিয়ান দেশটির নাগরিকত্ব খারিজ করার বিষয়ে।
উল্লেখ্য, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকে ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারির মধ্যে মেহুল প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ। তারপর আর্থিক তছরূপের পর আইনের হাত থেকে বাঁচতে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের ছোট্ট দেশ অ্যান্টিগা ও বারবুডায় গা ঢাকা দেন ওই ব্যবসায়ী। সেটা ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের ঘটনা। এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলির সঙ্গে ভারতের কোনও প্রত্যর্পণ চুক্তি নেই। তাছাড়া অ্যান্টিগার পাসপোর্ট ব্যবহার করে পৃথিবীর অন্তত ১২৬টি দেশে ঘোরা যায়। এই সুযোগ নিয়েই বেশিরভাগ ঋণখেলাপিরা আশ্রয় নেয় সেই দেশে। তবে মেহুল চোকসিকে ফেরাতে অ্যান্টিগার সঙ্গে নতুন করে প্রত্যর্পণ চুক্তির উদ্যোগ নেয় মোদি সরকার। দেশটির তরফে মেহুল চোকসি সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হলে তা ভারতের তরফে তুলে দেওয়া হয়। চোকসিকে নিজেদের নাগরিকত্ব প্রদান করলেও বর্তমানে তা খারিজ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি।