সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেবি-র চেয়ারম্যান থাকাকালীন মাধবী পুরী বুচ আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে বেতন নিতেন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। সোমবার কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা দাবি করেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন মাধবী। যদিও যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক। তাদের দাবি, অবসর নেওয়ার পরে বেতন কিংবা শেয়ারের লভ্যংশ পাননি সেবি চেয়ারম্যান।
২০১৭ সালে সেবির পরিচালন পর্ষদের পূর্ণ সময়ের সদস্য হন মাধবী। ২০২২ থেকে সেবির চেয়ারপার্সন পদে রয়েছেন তিনি। পবন খেরা দাবি করেছেন, ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আইসিআইসিআই ব্যঙ্কের থেকে বেতন বাবদ ১৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন সেবি চেয়ারম্যান। কংগ্রেস নেতা পবন খেড়ার বক্তব্য, সরকারি নিয়ামক সংস্থার পদে থেকে মাধবীর এই কাজ বেআইনি। তিনি দাবি করেন, এই কাজ স্পষ্টত স্বার্থের সংঘাত। খেরা আরও বলেন, "সেবি চেয়ারপার্সনের প্রথম বেআইনি কাজটি ছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৬.৮০ কোটি টাকা বেতন নেওয়া। তাঁর এই কাজের জন্য অফিস অফ প্রফিটের ধারা ৫৪-এর সরাসরি লঙ্ঘন হয়েছে।" মাধবীর পদত্যাগ করা উচিত বলেও দাবি করেন কংগ্রেস নেতা।
[আরও পড়ুন: সায়নের জামিনের বিরোধিতা, সুপ্রিম কোর্টে খারিজ রাজ্যের মামলা]
পবন খেরা দাবি করেন, একই সময়ে সেবি থেকে এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের থেকে বেতন নিচ্ছিলেন মাধবী। তাঁর বেতনের পরিমাণ ৪২২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। খেরার কথায়, তিনি আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ১৬ কোটি টাকা এবং সেবির থেকে ৩ কোটি টাকারও বেশি নিয়েছেন, এটি আইন লঙ্ঘন ছাড়া আর কিছুই নয়। যদিও আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এই ব্যাঙ্ক বা তার শাখা সংস্থাগুলি অবসর গ্রহণের পর মাধবী পুরী বুচকে কোনও বেতন দেয়নি, কোনও ESOP দেয়নি। কেবলমাত্র অবসর পরবর্তী প্রাপ্যই দেওয়া হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে যোগ দেন মাধবী। ২০০৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে ব্যাঙ্কের সিইও হন তিনি। ২০১১ সাল অবধি এই পদে ছিলেন তিনি।