shono
Advertisement

করোনা কালে ঐতিহ্যের ছোঁয়াটুকু রেখেই ইছামতীতে বিসর্জন, দর্শক প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

বিএসএফ, বিজিবি, জেলা প্রশাসন যৌথ আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Posted: 05:12 PM Oct 24, 2020Updated: 05:32 PM Oct 24, 2020

জ্যোতি চক্রবর্তী, বসিরহাট: দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন মানেই একেবারে অন্য ছবি টাকির ইছামতী নদীতে (Ichhamati River)। দু’পাড়ে প্রচুর মানুষের ভিড়। জোড়া করে বাঁধা নৌকায় বসানো প্রতিমা, একেবারে মাঝনদীতে তা বিসর্জন দিচ্ছেন দুই বাংলার মানুষ। বসিরহাটের টাকিতে ভাসানের পরিচিত এই দৃশ্য এবার আর দেখা যাবে না। করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ এড়াতে পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ইছামতীর ঐতিহ্যবাহী ভাসান এবার বন্ধ থাকবে।

Advertisement

টাকির ইছামতি নদীর ভাসান দেখার জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকেন দুই বাংলার অসংখ্য মানুষ৷ ভাসানের পাশাপাশি চলে দু’দেশের মানুষের মধ্যে গল্পগুজব ৷ইছামতীর বুকে নৌকা থেকেই চলে দু’দেশের মানুষের শুভেচ্ছা বিনিময়, চলে মিষ্টিমুখ। আকাশের বুকে সন্ধ্যাতারা দেখা গেলেই “মা তুমি আবার এসো”- নতুন করে এই বার্তা দিয়ে শুরু হয় ভাসান। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই ভাসান দেখতে মানুষজন ভিড় করেন টাকিতে৷ এক মাস আগে থেকে শুরু হয়ে যায় বুকিং।

তবে গত কয়েক বছরে একাধিক কারণে টাকির ভাসানে কিছুটা রাশ টানা হয়েছে। ২০১৩ সালে বিসর্জনের দিন বাংলাদেশি বজরার সঙ্গে ভারতীয় নৌকার ধাক্কায় জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ভারতীয় গবেষকের৷ সেবার বেআইনিভাবে শয়ে শয়ে বাংলাদেশি এদেশে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে, যা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন এলাকার মানুষ। এই ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ঠিক হয়, নৌকা নিয়ে যে যার জলসীমার মধ্যে থাকবে৷

[আরও পড়ুন: ‘তোমাদের ছেড়ে থাকতে পারব না’, যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত বদলের পর দাবি সৌমিত্রর]

এবছর করোনার কোপে জারি হল আরও বিধিনিষেধ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এবার নদীর পাড় থেকেই প্রতিমা জলের মধ্যে বিসর্জন দিয়ে দেওয়া হবে। একমাত্র টাকি জমিদার বাড়ির প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ইতিমধ্যেই বিএসএফ (BSF), বিজিবি (BGB), পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এবার আর বিসর্জন হবে না। ইতিমধ্যেই হাই কোর্ট করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীর ঢোকা নিষিদ্ধ করেছে৷ সেই সূত্রেই টাকির সেই চেনা পরিচিত ভাসান এবছর বন্ধ করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: দুর্যোগ কাটল বঙ্গে, মহাষ্টমীর সকাল থেকেই ঝলমলে আকাশ, দেখা মিলল রোদেরও]

বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভাসানের দিন দু’দেশের কেউই জিরো পয়েন্ট বেরিয়ে ঢুকে আসবে না। এ দেশের কয়েকটি নৌকা প্রতিমা নিয়ে নদীতে নামবে৷ সেই নৌকায় ৫ থেকে ১০ জনের বেশি থাকতে পারবে না। নদীর কিছু দূর গিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েই ফিরে আসতে হবে। নদীপাড়েও ভিড় করা যাবে না। তাই বাইরের দর্শকরাও এবার বিসর্জন ইছামতীর পাড়ে দাঁড়িয়ে ভাসান দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। সবমিলিয়ে, দীর্ঘদিনের আবেগ ঐতিহ্যে এবার অনেকটাই রাশ পড়ছে টাকিতে। তাই মন ভাল নেই স্থানীয় মানুষজনের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার