shono
Advertisement

মেলেনি রাইটার, মাধ্যমিক পরীক্ষাই দেওয়া হল না দৃষ্টিশক্তিহীন রাজিফার

প্রস্তুতির পরেও পরীক্ষা দিতে না পারায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে সে।
Posted: 05:47 PM Feb 24, 2023Updated: 05:49 PM Feb 24, 2023

ধীমান রায়, কাটোয়া: দৃষ্টিশক্তি নেই বললেই চলে। আগে থেকে রাইটারের আবেদন করা হয়নি। অগত্যা মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনেই সাদা খাতা জমা দিয়ে বাড়ি ফিরতে হল কাটোয়ার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। দ্বিতীয় দিনে আর পরীক্ষা দিতে যায়নি সে। রাজিফা খাতুন নামে ওই পরীক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

Advertisement

কাটোয়ার অর্জুনডিহি গ্রামের বাসিন্দা নধর আলি শেখের পাঁচ মেয়ে ও চার ছেলে। রাজিফা সেজ মেয়ে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, জন্ম থেকেই রাজিফার চোখে সমস্যা ছিল। পরে তার চোখে অস্ত্রোপচারও করা হয়৷ দুর্ভাগ্যবশত তাতেও ভাল দৃষ্টি আসেনি। একদম ঝাপসা দেখে। শুধুমাত্র বড় বড় লেখা খুব কাছ থেকে দেখতে পায়। ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট রয়েছে তার।

রাজিফা আলমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। পঞ্চাননতলা উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তাঁর পরীক্ষাকেন্দ্র। পরীক্ষাহলে যথাসময়ে পৌঁছলেও সাদা খাতা জমা দিয়ে তাকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। রাজিফা জানায়, খাতায় খুব কষ্ট করে নিজের নামটুকু লিখতে পেরেছে। রাজিফার কথায়, “আমি চোখে ভাল দেখতে পাই না তা আমার স্কুলের শিক্ষকদের জানিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আগে থেকে কোনও রাইটারের জন্য আবেদন করিনি। এটা জানতাম না। এদিন হলে পৌঁছনোর পর সমস্যার কথা বলি। তবে আর শ্রুতিলেখক পাইনি। বাকি পরীক্ষা কিভাবে দেব তা বুঝতে পারছি না।”

[আরও পড়ুন: কম্বলকাণ্ডে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ, জিতেন্দ্র তিওয়ারির আবাসনে হানা পুলিশের]

শারীরিক প্রতিবন্ধীকতার জন্য নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষার দু’মাস আগে স্কুলকে পর্ষদের কাছে রাইটারের জন্য আবেদন করতে হয়। সেইমতো পরীক্ষার্থীকে লেখকের নামও জানাতে হয়৷ তারপর অনুমতি দেয় পর্ষদ। আলমপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বুদ্ধদেব মণ্ডল বলেন, “রাজিফার লেখক প্রয়োজন। তবে ওর পরিবার থেকে কেউ আমাদের জানায়নি। তাই আমরাও কিছু করতে পারিনি।”

পরীক্ষার্থীর বাবা নধর আলি শেখ যদিও বলেন, “স্কুলের শিক্ষকরা জানতেন যে আমার মেয়ে চোখে ভাল দেখতে পায় না। স্কুলে প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট জমা দেওয়া আছে। আমরা লেখক কীভাবে দিতে হয় তা জানতাম না।”পঞ্চাননতলা উচ্চমাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসের মুর্শিদ বলেন, “আমাদের কাছে স্কুল থেকেও জানানো হয়নি। তাই লেখক দেওয়া যায়নি।” শুক্রবার আর পরীক্ষা দিতে যায়নি রাজিফা। বাড়িতেই রয়েছে। রাজিফা বলে, “আজও তো রাইটার পেতাম না। তাই পরীক্ষা দিতে গিয়ে আর কী হবে? তার চেয়ে সামনের বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য তৈরি হব।”

দেখুন ভিডিও:

[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস মাধ্যমিকের ইংরাজি প্রশ্ন! বিস্ফোরক দাবি সুকান্তর, পালটা কুণালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার