গৌতম ব্রহ্ম: ভারতে এখনও চোখ রাঙাচ্ছে নোভেল করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। চলতি বছর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত পরিস্থিতির সাক্ষী হয়েছে গোটা দেশ। আবার চলতি মাসেই কোভিডের তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কীভাবে বারবার দাপট দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে এই মারণ ভাইরাস? সরকারের গাফিলতি নাকি সাধারণ মানুষের অবহেলা! নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhijit Banerjee) কিন্তু এসব ছাপিয়ে কাঠগড়ায় তুললেন খোদ বিজ্ঞানকে। তাঁর মতে, বিজ্ঞানই ধন্দে ফেলে দিল গোটা দেশকে।
শুক্রবার ডিজিটাল বিজ্ঞান দৈনিকের উদ্বোধনে সোনারপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ লিভার অ্যান্ড ডাইজেন্টিভ সায়েন্সে (IILDS) হাজির হয়েছিলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই কোভিডের দাপট নিয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞানের কথা মেনে কেন্দ্র প্রথমে লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তারপর ধীরে ধীরে বিজ্ঞানসম্মত মতেই লকডাউন তুলে নেওয়া হল। বিধিনিষেধ অনেকটাই শিথিল হয়ে গেল। আর তাতেই নতুন করে চোখ রাঙাতে শুরু করল করোনা। অর্থাৎ বিজ্ঞানই ধন্দে ফেলে দিল সাধারণ মানুষকে। বিজ্ঞানের তত্ত্ব থেকে যেন ভরসাই হারিয়ে ফেললেন আম আদমি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিজ্ঞানকে সঠিকভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা সম্ভব হল না কেন? এ দায়িত্ব কার ছিল? সে নিয়ে অবশ্য বিস্তারিত মন্তব্যে যাননি তিনি।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সঙ্গে নিয়মিত আর্থিক লেনদেন! এবার NIA-এর নজরে তারকেশ্বরের দুই যুবক]
তবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মনে করেন, অতিমারী রুখতে দু-তিনটি নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমোদিত আরও কিছু ভ্যাকসিন (Corona Vaccine) ভারতীয় বাজারে আনা প্রয়োজন। তাহলে টিকাকরণের গতিও বাড়ানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি পরোক্ষভাবে টিকার অভাব নিয়ে রাজনৈতিক তরজা বন্ধ হওয়া উচিত বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
অতিমারীর জেরে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা বিপক্ষেও ফের সুর চড়ান অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি মনে করেন, করোনার জন্য দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত একেবারেই ঠিক নয়। এর ‘প্রায়শ্চিত্ত’ হিসেবে যত দ্রুত সম্ভব বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু করা প্রয়োজন।