সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘যাও গান আণবিক বোমাটাকে বলো, ধ্বংসের তত্ত্বটাকে বদলাই চলো’- গেয়েছিলেন বাংলার নাগরিক কবিয়াল। সেই আণবিক বোমা রোখার পণ নিয়ে চলা বিশ্বব্যাপী অভিযানই এবার ছিনিয়ে নিল নোবেল শান্তি পুরস্কার।
[ মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করে পদার্থবিদ্যায় নোবেল তিন বিজ্ঞানীর ]
নোবেল শান্তি পুরস্কারে এবার বড় চমক। কোনও ব্যক্তি নয়। বরং পরমাণু অস্ত্র রোখার বিশ্বব্যাপী অভিযানই পেল এই স্বীকৃতি। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস(আইসিএএন)-এই অভিযানই পেল চলতি বছরের নোবেল শান্তি পুরস্কার। সারা বিশ্বের কাছেই মারণ পরমাণু অস্ত্র ভয়াবহ শঙ্কার বিষয়। যে শঙ্কার ছাপ ছিল বাংলা গানেও। কবিয়াল তাঁর গানকে পাঠিয়েছিলেন আণবিক বোমা নিষ্ক্রিয় করার বার্তা দিতে। বাস্তবে গান নয়, সেই একই বার্তা বয়ে বেড়াল এক প্রচারাভিযান। এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক রাজনীতির যা সমীকরণ, তাতে প্রতিটি দেশই নিজেদেরকে পরমাণু বোমায় সশস্ত্র করে রেখেছে। মাঝে মধ্যেই চলে ক্ষমতা প্রদর্শনের নমুনা। চোখের সামনেই ভাসছে উত্তর কোরিয়ার একাধিক কর্মকাণ্ড। কোনওভাবে যদি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধে তবে এ পৃথিবী ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না। মানবাকিতার উপর এ যেন এক কালো ছায়া। আর তা সরানোরই কাজ করে চলেছে ওই প্রচার।
[ এবছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পাচ্ছেন তিন মার্কিন বিজ্ঞানী ]
২০০৭-এ ভিয়েনায় এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে এই অভিযানের যাত্রা শুরু। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে নিরলস পরিশ্রম করেছেন এই প্রচারে শামিল সদস্যরা। ১০১টি দেশের প্রায় ৪৬৮টি বেসরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে যোগসূত্র ঘটিয়ে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সচেতনতা। প্রায় এক দশক আগে জন্ম নেওয়া এই অভিযান ক্রমে বিশ্বব্যাপী এক আন্দোলনের রূপ নেয়। এই আন্দোলনের বড় সাফল্য আসে যখন রাষ্ট্রসংঘে ১২২টি দেশ পরমাণু অস্ত্র নিষিদ্ধকরণের চুক্তিতে রাজি হয়। নোবেল শান্তি পুরস্কারে থাকল এই সাফল্যেরই স্বীকৃতি।
The post পারমাণবিক অস্ত্র রোখার অভিযানেই এল নোবেল শান্তি পুরস্কার appeared first on Sangbad Pratidin.