সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই সাভারকর নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন এনসিপি (NCP) নেতা শরদ পওয়ার। তিনি বলছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাভারকরের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু এটা নিয়ে জোটসঙ্গীদের মধ্যে মতানৈক্য হলে, সেটাকে জাতীয় ইস্যু বানানো ঠিক নয়। পওয়ার বলছেন, আজকের দিনে দাঁড়িয়ে সাভারকরকে (VD Savarkar) প্রধান ইস্যু হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করা উচিত নয়।
তার চেয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু দেশে আছে। প্রবীণ নেতা মনে করছেন, শাসকদল যেভাবে চাইছে, আমাদের সেভাবে চলা উচিত নয়। সদ্যই ১৮-১৯টি রাজনৈতিক দল একযোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছেন। পওয়ার বলছেন, “সাভারকর আজকের ইস্যু নয়। এটা অতীতের ঘটনা। সাভারকর নিয়ে যা বলা হয়েছে, সেটা ব্যক্তিগত ইস্যুও নয়। মূলত হিন্দু মহাসভাকে আক্রমণ করা হয়েছে। তবে একই সঙ্গে বলব, দেশের স্বাধীনতায় সাভারকরের অবদানও অস্বীকার করা যায় না।”
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ লড়াই শেষ, প্রয়াত রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী প্রভানন্দ মহারাজ]
পওয়ারদের (Sharadh Pawar) ধারণা, বিজেপি আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে সাভারকরকে ইস্যু করতে চাইছে। বিরোধীদের সেটা থেকে সাবধান থাকতে হবে। উল্লেখ্য, সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার পর AICC সদর দপ্তরে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বলেছিলেন, ‘আমি গান্ধী, সাভারকর নই, ক্ষমা চাইব না।’ প্রাক্তন কংগ্রেস (Congress) সভাপতির সেই মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়। বিরোধীরা তো বটেই কংগ্রেসের জোট সঙ্গী উদ্ধব ঠাকরেও রাহুলের (Rahul Gandhi) এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন। উদ্ধব রাহুলকে সোজা বলে দিয়েছিলেন, সাভারকরকে নিয়ে কোনওরকম অসম্মানজনক মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। এমনকী ওই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী বৈঠকেও গরহাজির ছিল শিব সেনার উদ্ধব শিবিরের প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: নাম না করে অনুব্রতকে নীলকণ্ঠ শিবের সঙ্গে তুলনা, বীরভূমের তৃণমূল নেতার মন্তব্যে বিতর্ক]
যদিও পরে উদ্ধবকে ফোন করে রাহুল সমস্যা মিটিয়ে নেন। এবার শরদ পওয়ারও ঘুরিয়ে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে গেলেন। ফলে মহারাষ্ট্রের মহাজোটে ভাঙনের তেমন সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।