জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: স্বামী কর্মসূত্রে বিদেশে। বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। অভিযোগ, এই সুযোগে এক গৃহবধূকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করতেন, কুপ্রস্তাবও দিতেন প্রতিবেশী আত্মীয় যুবক। অতিষ্ঠ মহিলা অভিযুক্ত যুবককে গাছে বেঁধে রেখে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন। বুধবার সকালে বাগদা (Bagda)থানার কুলবেড়ে কাঁঠালবাগান এলাকার এই ঘটনায় অভিযুক্তের নাম মিঠুন হালদার।
মহিলার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর স্বামী বছর দুয়েক হল বিদেশে আছেন। দুই সন্তান নিয়ে বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। অভিযোগ, স্বামী না থাকার সুযোগ নিয়ে মিঠুন প্রায়ই ফোন করে কুপ্রস্তাব দিতেন মহিলাকে। রাতে তাঁর বাড়ির আশেপাশে দাঁ হাতে ঘোরাঘুরি করতেন।ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে রাখতেন। থানায় এ ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হলে কয়েক মাস আগে মিঠুনকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ। কিন্তু জামিনে ছাড়া পেয়েই ফের ওই মহিলাকে বিরক্ত করতে থাকেন মিঠুন। বুধবার ভোর রাতে ওই মহিলার ঘরের জানলার ফাঁক দিয়ে তাঁর মুখে টর্চের আলো ফেলেন। ওই গৃহবধূ বাইরে এলে তাঁকে আবার কুপ্রস্তাব দেন।
[আরও পড়ুন : দিলীপের পর হিরণ! পুলিশকে ‘হুমকি’ দেওয়ায় বিজেপি প্রার্থীকে কমিশনের ‘শোকজ’]
এরপরই ওই মহিলা বাড়ি থেকে গামছা এনে প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে যুবককে গাছে বেঁধে রেখে বাগদা থানায় খবর দেন। পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ।
[আরও পড়ুন : নেশার সামগ্রী দেননি, তৃণমূল নেতাকে মার ‘মদ্যপ’ বিজেপি কর্মীদের!]
অভিযুক্তর মা মনিলা হালদার বলেন, “আমার ছেলে আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ওই মহিলা সম্পর্কে ওর কাকিমা হয়। আমি বারণ করলে শুনত না। উলটে আমাকে মারধর করত”। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই যুবক।