সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: মমতার (Mamata Banerjee) তৃতীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেয়েছেন বহু নতুন মুখ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরবঙ্গের ৩ জন। পরেশচন্দ্র অধিকারী, বিপ্লব মিত্র ও বুলুচিক বড়াইক। বাম আমলে পরেশ অধিকারী মন্ত্রী থাকলেও বাকি দু’জন এই প্রথম ঠাঁই পেলেন মন্ত্রিসভায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের উপর ভরসা রাখায় আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তিনজনেরই। খুশি এলাকার মানুষও।
পরেশচন্দ্র অধিকারী (মেখলিগঞ্জ)- বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। দীর্ঘদিন বাম রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সিপিএমের হয়ে বিধানসভায় লড়াইও করেছেন। খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্বও পেয়েছিলেন তিনি। ২০১৬ সালের পর দলবদল করে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভরসা ছিল তাঁর উপর। তাই ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল টিকিট দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু পরাজিত হন পরেশবাবু। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে মেখলিগঞ্জ আসন থেকে লড়াই করেন তিনি। এবার জয়ের মুকুট উঠেছে তাঁর মাথায়। সেই সঙ্গে ফের ঠাঁই হয়েছে মন্ত্রিসভায়। স্কুল শিক্ষার দায়িত্বে তিনি।
[আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে আরও জোর, মমতার তৃতীয় মন্ত্রিসভায় জঙ্গলমহলের তিন কন্যা]
বিপ্লব মিত্র (হরিরামপুর) – জন্মলগ্ন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্র। তবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। কিছুদিনের মধ্যেই ঘর ওয়াপসি হয়। ফের তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শামিল হন তিনি। প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর আস্থা ছিল বিপ্লব মিত্রের উপর। তাই ২০১১, ২০১৬ এবং ২০২১-তিনবারই তাঁকে টিকিট দেয় তৃণমূল। ২০১১ সালে জয় পেলেও ২০১৬-এর নির্বাচনে বামপ্রার্থীর কাছে হেরে যান তিনি। এবারের নির্বাচনে জিতে মন্ত্রিসভায় বিপ্লব। কৃষি বিপণন দপ্তরের দায়িত্ব এবার তাঁর কাঁধে।
বুলুচিক বড়াইক (মাল)- ২০১১-১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বুলুচিক। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দলত্যাগ করে তৃণমূলে আসেন তিনি। ২০১৬ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করে জিতেওছিলেন। তবে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাননি তিনি। এবারের বিধানসভায় জিতে মন্ত্রী হলেন বুলুচিক বড়াইক। অনগ্রসর ও আদিবাসী উন্নয়নের দায়িত্ব তাঁর উপর।