সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংকটে উত্তর কোরিয়া (North Korea)। এবছর ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টন খাদ্যের অভাব রয়েছে সেদেশে। যার ফলে আগামী মাস থেকেই সেদেশে প্রবল খাদ্যাভাব দেখা দিতে চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছে বুধবার। গত বছর থেকেই একদিকে অতিমারী, অন্য দিকে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার দাপটে কিম জং উনের (Kim Jong-Un) দেশের অর্থনীতি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এবছরে সেই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠেছে।
ঠিক কী জানানো হয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে? রিপোর্ট অনুযায়ী গোটা দেশের সমস্ত মানুষের পেট ভরাতে ১১ লক্ষ টন খাদ্য প্রয়োজন। কিন্তু বাণিজ্যিক আমদানিতে ২ লক্ষ হাজার টনের বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং ৮ লক্ষ ৬০ হাজার টন খাদ্যের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছে। কোনও ভাবে এই ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না হলে অচিরেইপ্রবল সংকটের মুখে পড়তে চলেছেন সেদেশের সাধারণ মানুষ।
[আরও পড়ুন: আসছে তালিবান! আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে ভারত]
প্রসঙ্গত, গত জুনেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন দেশের খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে। জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতির খানিকটা উন্নতি হলেও খাদ্য পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ উঠছে। এমন পরিস্থিতিতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এমনিতেই উত্তর কোরিয়ার মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতি ও খাদ্যসংকট বহুদিন ধরেই ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। গত বছর অতিমারীর ধাক্কায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায়। দেশের সীমান্ত বন্ধের নির্দেশ দেন কিম। ফলে চিনের সঙ্গে বাণিজ্য কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার প্রকোপে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে থাকে। গত মাসেই দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের এক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দাবি করেছিল, এবছর ১০ লক্ষ টন খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে দেশে। সেই আশঙ্কা সত্যি হয়েছে অবশেষে।