সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘ ও আমেরিকাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে আবারও মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া। ২০১৭ সালের পরে এত বড় ক্ষেপণাস্ত্র আর ছুঁড়তে দেখা যায়নি কিং জং-উনের (Kim Jong Un) দেশকে। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক আঙিনায় বারবার সমালোচিত হতে হয়েছে উত্তর কোরিয়াকে। এই ধরনের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া থেকে নিজেদের বিরত রেখেছিল তারা। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে নিজেরাই সরে এল কিমের দেশ। বৃহস্পতিবার দেশের পূর্ব উপকূলে এই পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। তেমনই দাবি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর।
এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়ার খবর পাওয়ার পর কড়া নিন্দা করেছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। জাপান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে এই নতুন ধরনের আন্তর্মহাদেশীয় মিসাইল যাকে ICBM বলা হয়, সেটি ১ হাজার ১০০ কিমি দূরত্বেও নিখুঁত ভাবে নিশানা ভেদ করার ক্ষমতা রাখে। ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতাতেও এটি কর্মক্ষম। ২০১৭ সালে ৪ হাজার ৪৭৫ কিমি উচ্চতায় ৯৫০ কিমি দূরত্বের পাল্লার মিসাইল ছুঁড়েছিল উত্তর কোরিয়া।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের বাংলা বোর্ড ভুলে ভরা, চালুর আগে বিতর্ক]
এবারের মিসাইলের শক্তি তার চেয়েও ঢের বেশি। ২০১৮ সালে খোদ কিম ঘোষণা করেছিলেন, আর তাঁরা ICBM ও পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালাবেন না। কিন্তু অবশেষে নিজেই নিজের কথা থেকে সরে এলেন একনায়ক রাষ্ট্রনেতা।
বৃহস্পতিবার ২৯ দিনে পা দিয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে টেনশন বাড়াচ্ছে উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল পরীক্ষার গুঞ্জন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এর ফলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মাথাব্যথা আরও বাড়ল। বলে রাখা ভাল, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনকে (Kim Jong Un) বাগে আনতে লাগাতার চেষ্টা করছে আমেরিকা। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের নির্দেশে দেশটির বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’ চলছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু কিমের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সমস্ত প্রয়াস ভেস্তে দিচ্ছে চিন ও রাশিয়া। সম্প্রতি মিসাইল উৎক্ষেপণ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব আনে আমেরিকা। কিন্তু মস্কো ও বেজিংয়ের আপত্তিতে আপাতত সেই প্রস্তাব ঠান্ডাঘরে।