সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে চলছে রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ। অন্যদিকে হামাস জঙ্গিদের নিধনে গাজায় তীব্র আক্রমণ শানাচ্ছে ইজরায়েল। চুপ বসে উত্তর কোরিয়াও। ক্রমাগত শক্তিপ্রদর্শন করে যাচ্ছেন সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান কিম জন উন। সদ্যই যৌথ সামরিক মহড়া শেষ করেছে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। যা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি পিয়ংইয়ং। যার জবাবে ফের একবার সাগরে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ল কিমের দেশ।
গত সপ্তাহেই একটি বড় যৌথ সামরিক মহড়া সম্পূর্ণ করেছে ওয়াশিংটন ও সিউল। যাতে বেজায় চটেছেন কিম। ‘শত্রুপক্ষ’কে কড়া জবাব দিতে সোমবার জাপান সাগরে ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। চলতি বছরে এটি দ্বিতীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা পিয়ংইয়ংয়ের। এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জাপানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাগরে একটি মিসাইল ছোড়া হয়েছে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ডেমোক্রেসি সামিট। যেখানে যোগ দিতে সিউলে গিয়েছেন মার্কিন বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেদেশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না কিম। কোরীয় উপদ্বীপে ক্রমশ ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ।
[আরও পড়ুন: ক্ষমতায় ফিরে নাভালনিকে নিয়ে মুখ খুললেন পুতিন, কী বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট?]
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ও মিসাইলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সামরিক মহড়া করেছিল আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১১ দিনের ওই মহড়া শেষ হয় গত ১৪ মার্চ। দুদেশের এই যৌথ মহড়া নিয়ে আগেই হুমকি দিয়েছিলেন কিম। সিউলে আঘাত হানার মতো সমস্ত রকম প্রস্তুতি রয়েছে বলে হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। বলে রাখা ভালো, গত বছরের ডিসেম্বরে শত্রু দেশে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম।
তাঁর সাফ বার্তা ছিল, প্রতিপক্ষ যদি পরমাণু অস্ত্রের আস্ফালন করে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে তাহলে আক্রমণ শানাতে পিছপা হবে না পিয়ংইয়ং। আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে গত বছর রেকর্ড হারে অস্ত্রের পরীক্ষা করেছিলেন তিনি। এখন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।