সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই একটি রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। সবমিলিয়ে দুই পড়শি দেশের যুযুধানে আরও গাঢ় হয়েছে যুদ্ধের মেঘ।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইওনহাপ সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, শুক্রবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট উৎক্ষেপণ করে দক্ষিণ কোরিয়া। তারপরই কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুঁড়ে উত্তর কোরিয়া। এদিকে, একনায়ক কিম জং উনের এহেন পদক্ষেপে কড়া বার্তা দিয়েছে সিওল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, “দেশের সুরক্ষায় আমাদের সেনাবাহিনী সবসময় প্রস্তুত।” বলে রাখা ভাল, ২৬ ডিসেম্বর আচমকা উত্তর কোরিয়ায় ঢুকে পড়ে কিমের ড্রোন বাহিনী। পালটা, গুলি ছুঁড়ে সিওলের সেনা।
[আরও পড়ুন: বিবাদের কারণ নম্বর প্লেট! যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করল সার্বিয়া]
প্রসঙ্গত, আমেরিকাকে নিশানা করে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৭’ তৈরির কাজ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। তা প্রায় শেষ। এবার মিসাইলটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চলছে। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে পরমাণু হামলা চালানোর লক্ষ্যে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৪’ তৈরি করেছে পিয়ংইয়ং। এর আগে ৬,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘হোয়াসং-১২’-র সাহায্যে কিমের দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে আমেরিকার আলাস্কা এবং এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে হানাদারি চালানো সম্ভব ছিল। নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে জো বাইডেনের দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তর কোরিয়ার নিশানায় চলে এসেছে বলে জাপানের দাবি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিমের দেশ যা শুরু করেছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান (Japan) ও দক্ষিণ কোরিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশগুলির জনসাধারণের মধ্যেও। সিওল জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কিমের সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার মিসাইল উৎক্ষেপণের পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করার নির্দেশ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দেশটির বিমান, জাহাজ ও অন্যান্যও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেন তিনি।