সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার মিসাইলের আওতায় রয়েছে আমেরিকা। এমনটাই চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে জাপান। বিগত দিনে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে কোরীয় উপত্যকায় রীতিমতো যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে কিম জং উনের ফৌজ। এবার উত্তর কোরিয়ার নতুন আন্তর্মহাদেশী মিসাইলের খবর প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিবিসি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার জাপান সাগরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে কিমের সেনাবাহিনী। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা জানিয়েছে, পড়শি দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে ছোঁড়া হয় ব্যালিস্টিক মিসাইলটি। প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার উচ্চতা ছুঁয়ে ১ হাজার কিলোমিটার দূরে আছড়ে পরে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। এর গতি ছিল মাক-২২ অর্থাৎ শব্দের বাইশগুণ বেশি।
এই বিষয়ে শুক্রবার জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াশুকাজু হামাদা বলেন, “১৫,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল বা আইসিবিএম) রয়েছে উত্তর কোরিয়ার হাতে। জাপান উপকূলে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে কিমের দেশ। সেগুলির উড়ানের প্রকৃতি থেকে প্রযুক্তিগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেই এই তথ্য উঠে এসেছে।”
[]আরও পড়ুন: ‘এটা আপনাদেরও সমস্যা’, ইউক্রেন যুদ্ধে এশীয় দেশগুলির সাহায্য চাইলেন ম্যাক্রোঁ]
প্রসঙ্গত, আমেরিকাকে নিশানা করে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৭’ তৈরির কাজ শুরু করেছিল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। তা প্রায় শেষ। এবার মিসাইলটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ চলছে। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিতে পরমাণু হামলা চালানোর লক্ষ্যে আইসিবিএম ‘হোয়াসং-১৪’ তৈরি করেছে পিয়ংইয়ং। এর আগে ৬,০০০ কিলোমিটার পাল্লার ‘হোয়াসং-১২’-র সাহায্যে কিমের দেশের উত্তর প্রান্ত থেকে আমেরিকার আলাস্কা এবং এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় গুয়াম দ্বীপে হানাদারি চালানো সম্ভব ছিল। নয়া ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে জো বাইডেনের দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় উত্তর কোরিয়ার নিশানায় চলে এসেছে বলে জাপানের দাবি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কিমের দেশ যা শুরু করেছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান (Japan) ও দক্ষিণ কোরিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশগুলির জনসাধারণের মধ্যেও। সিওল জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কিমের সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার মিসাইল উৎক্ষেপণের পর সেনাবাহিনী ও প্রশাসনকে ‘সতর্কতামূলক পদক্ষেপ’ করার নির্দেশ দেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। দেশটির বিমান, জাহাজ ও অন্যান্যও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেন তিনি।