সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোরীয় উপত্যকায় ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। ফের জাপান সাগরে মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া। প্রতিপক্ষকে কড়া জবাব দিতে কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে পিয়ংইয়ং। উদ্বেগ বাড়িয়ে চলতি বছরে রেকর্ড হারে যুদ্ধাস্ত্র পরীক্ষা করছে কিমের দেশ।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে জাপান সাগরে দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের। শত্রুপক্ষকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিশেষ সামরিক মহড়া শুরু করেছে পিয়ংইয়ং।
এদিন মিসাইলের পরীক্ষানিরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার সেনা একটি বিবৃতি দেয়। সেখানে তারা সাফ জানায়, ‘এই মহড়া শত্রুদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার জন্য।’ জানা গিয়েছে, চলতি বছরে রেকর্ড হারে অত্যাধুনিক মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্রের পরীক্ষনিরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। কার্যত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বিশ্বের।
[আরও পড়ুন: ‘ক্যাটরিনা’র স্মৃতি উসকে আমেরিকায় আছড়ে পড়ল ভীষণ হ্যারিকেন ‘ইদালিয়া’]
উল্লেখ্য, আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া জোটের সঙ্গে চিন ও উত্তর কোরিয়ার সংঘাত বহু দিনের। বিগতে কয়েকদিনে যা আরও তীব্র হয়েছে। ফলে দু’পক্ষের বিবাদে কার্যত বারুদের স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আছে কোরীয় উপদ্বীপ। এর মাঝে আগুনে ঘি ধালার মতো কাজ করেছে গত জুলাই মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বন্দরে মার্কিন নৌসেনার সাবমেরিনের প্রবেশ। এবং ওয়াশিংটন ও সিউলের যৌথ সামরিক মহড়া। ‘অস্তিত্ব সংকটে’র আশঙ্কায় আগেও বহুবার মিসাইল উৎক্ষেপণ করেছিল পিয়ংইয়ন।
এর পর থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় অস্ত্রশস্ত্র ও মিসাইল তৈরি হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। গোটা পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছেন সেদেশের সর্বাধিনায়ক কিম। নিজেই ঘুরে দেখছেন বিভিন্ন অস্ত্র তৈরির কারখানা। গত ৯ আগস্ট ‘সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের’বৈঠকে সেনাবাহিনীকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কৌশলগত দিক থেকে ও অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত থাকাই এখন উত্তর কোরিয়ার লক্ষ্য।