সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাপান ছাড়তেই একের পর এক তিনটি মিসাইল ছুঁড়ল উত্তর কোরিয়া (North Korea)। তারমধ্যে রয়েছে কিমের ফৌজের একটি নতুন ও অত্যাধুনিক আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রও। এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করেছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: কোয়াডে চিনকে হুঁশিয়ারি রাষ্ট্রনেতাদের, বাইডেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মোদি]
কোয়াড বৈঠক শেষে কাল অর্থাৎ মঙ্গালবার জাপান থেকে দেশে ফিরে যান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর ঠিক কয়েক ঘণ্টা পরেই বুধবার তিনটি মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। এই মিসাইলগুলির মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে একনায়ক কিং জং উনের নতুন আন্তর্মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) ‘হওয়াসং-১৭’। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের অদূরে অবস্থিত সুনান এলাকা থেকে মিসাইলগুলি ছোঁড়া হয়।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নবুও কিশি জানিয়েছেন, একটি মিসাইল ভূপৃষ্ট থেকে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার উপরে উঠে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যায়। অন্যটি ৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে ৭৫০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ঘটনার প্রতিবাদে কিশি বলেন, “এহেন উসকানিমূলক পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে আন্তর্জাতিক মঞ্চের সঙ্গে জাপানের শান্তি ও নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হচ্ছে।” মিসাইল উৎক্ষেপণের পর তড়িঘড়ি বৈঠকে বসে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমেরিকাও।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার কোয়াড বৈঠকে যোগ দিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উদ্দেশে রওনা দেন বাইডেন। এহেন পরিস্থিতিতে শক্তিপ্রদর্শন করতে পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা বা মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করতে পারে উত্তর কোরিয়া বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ওয়াশিংটন। সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এশিয়া মহাদেশে উস্কানিমূলক পদক্ষেপ করতে পারে উত্তর কোরিয়া। তাইওয়ান দখল ও দক্ষিণ চিন সাগরে আগ্রাসনের চেষ্টা চালাতে পারে চিন। ফলে আমেরিকার আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উনকে (Kim Jong Un) বাগে আনতে লাগাতার চেষ্টা করছে আমেরিকা। আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ওয়াশিংটনের নির্দেশে দেশটির বিরুদ্ধে ‘অন্তর্ঘাত’ চলছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু কিমের পাশে দাঁড়িয়ে সেই সমস্ত প্রয়াস ভেস্তে দিচ্ছে চিন ও রাশিয়া।