সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিম জং উন (Kim Jong Un)। তাঁকে ঘিরে বিতর্ক সব সময়ই তুঙ্গে। রহস্যের আরেক নাম কিম বললেও ভুল হবে না বইকী! উত্তর কোরিয়ার (North Korea) সেই স্বৈরাচারী রাষ্ট্রনেতাই এবার ফের বিতর্কিত এক নির্দেশ দিলেন। দুই কিশোরকে মৃত্যুদণ্ড দিল কিম প্রশাসন। কী ‘অপরাধ’ তাদের? দক্ষিণ কোরিয়ার ড্রামা শো দেখা ও তা অন্যদের কাছে ছড়িয়ে দেওয়া! আসলে দক্ষিণ কোরিয়ার এই কে-ড্রামা দেখা কিমের দেশে নিষিদ্ধ। আর সেই কারণেই ওই দুই কিশোরকে দেওয়া হল চরম শাস্তি।
জানা গিয়েছে, চিনের সীমান্তে অবস্থিত রায়ানগ্যাং প্রদেশের এক হাই স্কুলে পড়ত ওই দুই কিশোর। গত অক্টোবরেই দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার বেশ কিছু ড্রামা শো দেখে তারা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তাদের প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। একটি ফাঁকা প্রান্তরে দাঁড় করিয়ে গুলি করে কিমের সেনা। কিমের দেশের আইন অনুযায়ী, এই ধরনের আচরণ আসলে ‘পাপে’র শামিল। তাই কোনও রকম ছাড় নয়।
[আরও পড়ুন: হিজাব নয়, হেয়ারব্যান্ড পরায় ইরানের মহিলা পর্বতারোহীর বাড়ি ভাঙচুর হিজাবপন্থীদের]
উত্তর কোরিয়ার স্বৈরাচারী শাসক কিম জং উনের অমানবিক মানসিকতার কথা সারা বিশ্ব জানে। করোনাকালে অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রচুর মানুষ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করতেন। সেই সময় তাঁদের আধপেটা খেতে দিয়ে এতটাই পরিশ্রম করানো হচ্ছিল যে কিছুদিনের মধ্যেই প্রাণ হারাচ্ছিলেন ওই মানুষগুলি। এরপর তাঁদের মৃতদেহগুলি মাটি চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করে তা দিয়ে ফুল চাষ করা হচ্ছিল। মানবাধিকার ভঙ্গ করার এমন নজির বারবারই প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই নিয়ে বহির্বিশ্বের সমালোচনাতেই ভ্রূক্ষেপ নেই কিমের।
এদিকে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিকে আতঙ্কে ফেলে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষত, সম্প্রতি কিমের দেশ যা শুরু করেছে তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন জাপান (Japan) ও দক্ষিণ কোরিয়া। আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশগুলির জনসাধারণের মধ্যেও। সিওল জানিয়েছে, আমেরিকার সঙ্গে যৌথভাবে কিমের সেনার গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে।