সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'শত্রু' দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছিলেন কিম জং উন। দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে রেকর্ড হারে অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইয়েঅল হুঁশিয়ারি দিলেন, তাঁদের দেশের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ছুড়লে তার ফল ভুগতে হবে কিমের দেশকে। এবং নিজের রাজত্ব খোয়াতে হবে একনায়ককে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার প্রতিষ্ঠার বর্ষপূর্তি ছিল মঙ্গলবার। সেই উপলক্ষেই এক অনুষ্ঠানে রীতিমতো রণং দেহি মেজাজে দেখা গেল সেদেশের প্রেসিডেন্টকে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''যদি উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করার চেষ্টা করে তাহলে আমাদের সেনারাও তার যথাযোগ্য ও অপ্রতিরোধ্য জবাব দেবে। এবং সেটাই হবে উত্তর কোরিয়ার শাসন ব্যবস্থার শেষ দিন।''
এদিন দক্ষিণ কোরিয়ার তরফে সেদেশের বৃহত্তম ব্যালিস্টিক মিসাইল হাইনমু-৫ প্রদর্শিত হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য এর আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কার ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে। পাশাপাশি এফ-১৫কে জেটবাহী একটি মার্কিন বি-১বি হেভি বম্বারও প্রদর্শিত হয় এদিন। এমন অস্ত্র প্রদর্শনকে তোপ দেগেছে উত্তর কোরিয়া।
কয়েক মাস আগেই যুদ্ধের ডঙ্কা বাজিয়ে দেন উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন। সেদেশের সেনাবাহিনীকে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এটাই সঠিক সময় । এখনই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। সমর বিশ্লেষকদের মতে, নাম না করে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কিম। শত্রুপক্ষকে যোগ্য জবাব দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শত্রুরা যদি যুদ্ধের পথ বেছে নেয় তাহলে আমরা কোনও দ্বিধা করব না। আমরা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ব। শত্রুদের মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হবে।” বিশেষজ্ঞদের মতে, নাম না করলেও কিম শত্রু বলতে দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকেই ইঙ্গিত করেছেন। এবার তাদের পালটা দিল দক্ষিণ কোরিয়া।