সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর কোরিয়ার সফর শেষে ভিয়েতনামে গিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে গিয়েও নাম না করে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকাকে নিশানা করেছেন তিনি। কার্যত হুঁশিয়ারির দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনকে হাতিয়ার দিলে উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র পাঠাবে রাশিয়া। আমেরিকাকে চাপে ফেলতে আরও শক্তিশালীভাবে জোটবদ্ধ হয়েছে মস্কো ও পিয়ংইয়ং। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, উত্তর কোরিয়ায় গিয়ে কিমকে পাশে বসিয়ে গাড়ি চালিয়েছিলেন পুতিন। পড়ে সেই গাড়ি তিনি 'বন্ধু'কে কিমকে উপহার হিসাবে দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ায় পা রাখেন পুতিন। বুধবার তিনি বৈঠক করেন সেদেশের রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উনের সঙ্গে। দীর্ঘ আলোচনার পর সামরিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন দুজনে। রাশিয়া কিংবা উত্তর কোরিয়া। অন্য দেশ আক্রমণ শানালেই একে অপরের পাশে দাঁড়াবেন পুতিন ও কিম। নাম না করলেও যে দুজনের ইঙ্গিত আমেরিকার দিকেই তা স্পষ্ট। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের পাশে রয়েছে আমেরিকা। আবার কিমের দেশের সঙ্গেও ‘শত্রুতা’র অন্ত নেই ওয়াশিংটনের। বৃহস্পতিবার এই চুক্তি নিয়েই প্রশ্ন করা হয় পুতিনকে।
[আরও পড়ুন: ‘অশুভ শক্তির উত্থান’, অতীত স্মরণ করিয়ে ট্রুডোকে তোপ কানাডার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদের]
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, পশ্চিমি দুনিয়া যদি ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে তাহলে রাশিয়াও উত্তর কোরিয়াকে হাতিয়ার দেবে। চুক্তি নিয়ে তাঁর বক্তব্য, "আমি আগে বলেছিলাম, উত্তর কোরিয়া-সহ বিশ্বের যে কোনও জায়গায় অস্ত্র সরবরাহ করার অধিকার রয়েছে আমাদের। এক্ষেত্রেও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমাদের চুক্তিগুলোকেও বিবেচনা করা হয়েছে।" বলে রাখা ভালো, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আমেরিকাবিরোধী দেশগুলোর সঙ্গে জোটবদ্ধ হতে উঠেপড়ে লেগেছেন পুতিন।
বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া যে অনেকটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছে তা পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফর থেকে স্পষ্ট। কারণ দুবছর ধরে চলা যুদ্ধে বিস্তর ক্ষতি হয়েছে রুশ ফৌজের। পশ্চিমি নিষেধাজ্ঞার জেরে অস্ত্র উৎপাদনেও ব্যঘাত ঘটছে। যার জেরে মস্কোকে কার্যত হাত পাততে হচ্ছে পিয়ংইয়ংয়ের কাছে। কিমকে পাশে বসিয়ে পুতিন যেভাবে গাড়ি চালিয়েছেন তাতে তিনি সেই বার্তাই দিলেন। বুঝিয়ে দিলেন কতটা নমনীয় হয়েছে রাশিয়া।