সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মহানাটক পর্বের যবনিকা পড়া এখনও বাকি। একনাথ শিন্ডে (Eknath Shinde) নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরও সদ্য শাসক থেকে বিরোধী শিবিরে চলে যাওয়া মহা বিকাশ আগাড়ি জোট আশা ছাড়ছে না। একদিকে যেমন নতুন মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীর দিকে ধেয়ে আসছে কটাক্ষে ভরা বাক্যবাণ, অন্যদিকে তেমনি আইনি পথেও শুরু হয়েছে লড়াই।
একনাথ শিণ্ডে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বুধবার সন্ধেয় দেবেন্দ্র ফড়ণবিসের (Devendra Fadnavis) এই ঘোষণায় রাজনৈতিক মহল যতটা না অবাক হয়েছিল, তার চেয়েও বোধ হয় বেশি অবাক হয়েছিল ফড়ণবিসকে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে দেখে। আসলে, শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময়ই ফড়ণবিস ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি নতুন সরকারের অংশ হবেন না। অর্থাৎ মন্ত্রিসভার সদস্য হবেন না। বস্তুত পাঁচ বছর মুখ্যমন্ত্রী থাকার পর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসাটা তাঁর পক্ষে অসম্মানজনকই বটে। ফড়ণবিস নিজেও পরে বলেছেন, দলের সৎ কর্মী হিসাবে শুধু উপরমহলের নির্দেশ পালন করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: স্বস্তি নেই দেশের করোনা পরিসংখ্যানে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১৭ হাজারের উপরে, বাড়ছে অ্যাকটিভ কেস]
কিন্তু এরপরই আসরে নামে দিল্লি। খোদ জেপি নাড্ডা (JP Nadda) ফড়ণবিসক উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার নির্দেশ দেন। দিল্লির নির্দেশে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নতুন সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজেপি নেতা। অনিচ্ছা সত্ত্বেও দেবেন্দ্রর এই ডেপুটি অবতারকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। খোদ এনসিপি (NCP) সুপ্রিমো শরদ পওয়ার (Sharad Pawar) ফড়ণবিসকে কটাক্ষ করে বলেছেন, “আমার মনে হয় না ফড়ণবিস খুশি মনে ডেপুটির পদ গ্রহণ করেছে। ওঁর চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু ও নাগপুরে ছিল। একজন স্বয়ংসেবক হিসাবে ও নির্দেশ পালন করেছে।”
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ শিণ্ডের, কোন অঙ্কে মসনদে ‘বিদ্রোহী’ শিব সেনা নেতা]
পওয়ার যখন ফড়ণবিসকে বাক্যবাণে বিঁধছেন তখনই আবার উদ্ধব শিবির বিক্ষুব্ধদের বিরুদ্ধে নতুন করে আইনি পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের যাতে বিধানসভায় অংশগ্রহণ করতে না দেওয়া হয়, সেই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে শিব সেনার উদ্ধব শিবির। তাঁদের বক্তব্য, বিধানসভায় অংশগ্রহণ করতে দিলে ওই বিধায়করা বিজেপির বোড়ে হিসাবে কাজ করবে। সেটা বন্ধ হওয়া উচিত।