সৌরভ মাজি, বর্ধমান: ছিল রুমাল হয়ে গেল বিড়াল। অনেকটা এমন ঘটনাই ঘটেছে এক শিক্ষিকার সঙ্গে। ছিল বিড়াল, কিন্তু হয়ে গেল অন্যকিছু। যাকে বিড়াল ভাবছিলেন, সে আসলে বিড়ালই নয়! বুঝুন কাণ্ড!
পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের ইলামপুরের বাসিন্দা আলোলিকা ঘোষ। পশুপ্রেমী হিসেবেও পাড়ায় পরিচিতি রয়েছে তাঁর। পথকুকুরের অসহায় ছানা ঘরে এনে পুষেছেন। আরও কয়েকটি পোষ্যো রয়েছে তাঁর। তেমনই দিন পনেরো আগে নতুন এক অতিথিকে বাড়িতে তুলেছিলেন তিনি। বাড়ির পাশে খড়ের পালুইয়ের নিচে লাগাতর মিউ মিউ ডাক শুনে ছুটে গিয়েছিলেন। ছোট্ট ‘বিড়াল ছানা’টিকে দেখে বড়ই মায়া হয় আলোলিকা দেবীর। এক মুহূর্ত দেরি না করে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন। শীতে কম্বলের নিচে শুতেও দেন।
[আরও পড়ুন: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি, যাদবপুরের সমাবর্তনে রাজ্যপালের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ SFI-এর]
কিন্তু দিন তিনেক আগেই গল্পে নয়া টুইস্ট। ‘বিড়াল ছানা’কে নিয়ে সমস্যায় পড়েন তিনি। সে খাওয়া-দাওয়া কিছুই করছিল না। মুখ একেবারে শুকিয়ে ছোট হয়ে যায়। চিন্তিত হয়ে পড়েন হুগলির ধনিয়াখালির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা আলোলিকা। ওই ছানার ছবি তুলে পাঠান এক পশু চিকিৎসককে। তাকে সুস্থ রাখতে কী করা প্রয়োজন, পরামর্শ চেয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকের উত্তর শুনে আঁতকে ওঠেন ওই শিক্ষিকা। ১৫ দিন ধরে যাকে বাড়িতে পুষেছেন, সে আসলে বিড়াল ছানাই নয়! সে খটাশ (ভাম)। ইংরেজিতে যা ইন্ডিয়ান সিভেট নামে পরিচিত। অথচ এক মুহূর্তের জন্যও এ নিয়ে সন্দেহ হয়নি তাঁর।
সত্যিটা জানার পর আর দেরি করেননি। সোমবার বনদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেই ভামকে তাদের হাতে তুলে দেন আলোলিকা ঘোষ। আপাতত ওই ছানাটি বর্ধমানের রমনাবাগানে বনকর্মীদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। আপাতত সে সুস্থ আছে বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে ১৫ দিনেই ওই ছানার প্রতি একটা মায়া পড়ে গিয়েছিল। তাই মন খারাপ ওই শিক্ষিকার।