সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেই ভারতের বাণিজ্য দপ্তরের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছিল, চিনকে টপকে ভারতের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য করেছে আমেরিকা (India-USA Trade)। এবার সেই মন্তব্যের পালটা দিয়েছে বেজিং। চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমেরিকার চেয়েও বেশি বাণিজ্য হয়েছে ভারত এবং চিনের মধ্যে।
ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এক বছরে ভারত এবং আমেরিকার আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা বেড়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে প্রায় নয় লক্ষ ছাব্বিশ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। ভারত থেকে আমেরিকায় রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় চার লক্ষ কোটি টাকা। এক বছরে রপ্তানির পরিমাণ বেড়ে হয়েছে সাত হাজার ছ’শো কোটি ডলার। অন্যদিকে আমেরিকা (USA) থেকে ভারতের আমদানির পরিমাণ বেড়েছে এক হাজার চারশো কোটি ডলার।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে অনুপ্রবেশ ৩০টি চিনা যুদ্ধবিমানের, কী চাইছে বেজিং?]
কিন্তু চিনের তরফে বলা হয়েছে, ২০২১-২০২২ অর্থবর্ষে নয় লক্ষ সাতাত্তর হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য (India-China Trade) হয়েছে দু’দেশের মধ্যে। ভারত অন্য পদ্ধতিতে হিসাব করে, তাই পরিসংখ্যানে ফারাক দেখা যাচ্ছে বলেই জানিয়েছে বেজিং। সেদেশের বিদেশ মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে উন্নতি করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে চিন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, “চিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ভারতের সঙ্গে নয় লক্ষ সাতাত্তর হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য করেছে চিন। তার ভিত্তিতে বলা যায়, ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে চিনই। যেহেতু ভারত এবং চিনের হিসাব করার পদ্ধতি আলাদা, তাই আলাদা পরিসংখ্যান দেখা যাচ্ছে।”
সীমান্তবর্তী এলাকায় লাগাতার সংঘর্ষ চললেও তার প্রভাব পড়েনি বাণিজ্যে। বিশেষত, ২০২১ সালের প্রথমদিকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ে চিনা (China) চিকিৎসা সামগ্রীর চাহিদা খুব বেড়ে যায় ভারতে। তবে চিনের তরফে বলা হয়েছে, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য নিয়ে কোনও আপত্তি নেই তাদের। কোন দেশের সঙ্গে বেশি বাণিজ্য করল, তা নিয়েও মাথাব্যথা নেই। সীমান্তেও কোনও সমস্যা নেই বলেই জানিয়েছে বেজিং।