শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: 'মন নিয়ে খেলেছে, মন ভেঙেছে।' সুইসাইড নোটে এসব লিখেই আত্মঘাতী হলেন যুবতী। সেই সুইসাইড নোট উদ্ধারের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলশিক্ষককে। ধৃত ব্যক্তি আবার একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সেবাইত এবং বিবাহিত বলে জানা গিয়েছে। জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানা এলাকার ঘটনায় অভিযুক্তের কঠোরতম শাস্তির দাবি যুবতীর পরিবারের।
জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) শহরের এক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই যুবতী ও তাঁর পরিবার। সেখানেই স্কুলশিক্ষক তথা সেবাইতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু এই সম্পর্কের কোনও আঁচ পাননি বলেই দাবি যুবতীর বাবা প্রবাল বসুর। সোমবার সন্ধ্যায় বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) করলেন আদরপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবতী। রাতেই সুইসাইড নোট (Suicide Note) উদ্ধার করে পুলিশ। সেই নোটের উপর ভিত্তি করে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত দেবরাজ তলাপাত্রকে গ্রপ্তার করে পুলিশ। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে দেবরাজ।
[আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে বিমান, সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে দৌড়তে শুরু করলেন যাত্রী! তার পর?]
মৃত যুবতীর পরিবারের দাবি, একই গুরুর শিষ্য হওয়ার কারণে ওই দেবরাজের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যুবতীর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল দেবরাজের। মৃত যুবতীর বাবা প্রবাল বসু জানান, একই প্রতিষ্ঠানে দীক্ষিত হওয়ার কারনে বিভিন্ন সময় দেবরাজও বাড়িতে আসতেন। গত একবছর থেকে এই যাতায়াত বেড়েছিল। কিন্তু মেয়ের সঙ্গে দেবরাজের সম্পর্ক রয়েছে, তা কোনও ভাবেই আন্দাজ করতে পারেননি তাঁরা। দেবরাজ বিবাহিত এবং তাঁর দুই সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু ঘটনা ঘটার পর উদ্ধার সুইসাইড নোট এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট (WhatsApp Chat) সামনে আসায় বিষয়টি স্পষ্ট হয়।
[আরও পড়ুন: ‘আজীবন এই দলটাকে ধরে রাখতে চাই’, গম্ভীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে আবেগপ্রবণ কিং খান]
প্রবালবাবু জানান, ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরে ঝুলছে মেয়ের মৃতদেহ (Hanging deadbody)। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে ঘটনা জানাজানি হওয়ায় বাড়ি ছেড়ে গা ঢাকা দেয় শহরের অরবিন্দ নগরের বাসিন্দা দেবরাজ। মঙ্গলবার দুপুরে এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে দেবরাজ তলাপাত্রকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে। থানায় দেবরাজ দাবি করেন, একই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পরিচয় থাকলেও আলাদা করে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। যদিও সুইসাইড নোট সামনে আসার পর অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মৃত যুবতীর পরিবার। ধৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।