সুকুমার সরকার, ঢাকা: কোটার দাবি মেটার পরেও রক্ত ঝরছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা সরকারের অপসারণ চেয়ে ফের রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়া এবং যুবসমাজের একাংশ। এর জেরে রবিবার বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের। এদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ। এদিন সে দেশে শুরু হয়েছে অসহযোগ আন্দোলন। বিভিন্ন জেলায় শাসকদল আওয়ামি লিগ এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান আন্দোলনকারীরা। তাতেই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বন্ধ করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশজুড়ে জারি হয়েছে কার্ফু।
আজ দিনভর সংঘর্ষে নরসিংদীতে ৬ জন, ফেনীতে ৮ জন, লক্ষ্মীপুরে ৮ জন, সিরাজগঞ্জে ১৩ পুলিশসহ মোট ২২ জন, কিশোরগঞ্জে ৫ জন, রাজধানী ঢাকায় ১১ জন, বগুড়ায় ৫ জন, মুন্সিগঞ্জে ৩ জন, মাগুরায় ৪ জন, ভোলায় ১ জন, রংপুরে ৪ জন, পাবনায় ৩ জন, সিলেটে ৫ জন, কুমিল্লায় পুলিশ সদস্যসহ ৩ জন, শেরপুরে ২জন, জয়পুরহাটে ২ জন, হবিগঞ্জে ১জন, ঢাকার কেরাণীগঞ্জে ১ জন, সাভারে ১ জন, কক্সবাজারে ১ জন ও বরিশালে ১ জনসহ ৯৭ জন নিহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শামাল দিতে সোমবার থেকে বাংলাদেশে তিন দিন ছুটি ঘোষণা করেছে হাসিনা সরকার।
[আরও পড়ুন: হোটেলের ঘরে মেয়েদের ধর্ষণ! ছেলেদের সঙ্গেও যৌন সম্পর্ক! অমিত মালব্যর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক সপা]
এদিকে বাংলাদেশে নতুন করে হিংসা ছড়ানোয় ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক করছে দিল্লি। বাংলাদেশে ভারতের সহকারী রাষ্ট্রদূতের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "সিলেটের এখতিয়ারে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীসহ সকল ভারতীয় নাগরিকদের এই দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে এবং সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জরুরি পরিস্থিতিতে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে--- +৮৮-০১৩১৩০৭৬৪০২১" উল্লেখ্য, গতকালই বিক্ষোভকারীদের কাছে আলোচনার প্রস্তাব করেছিল বাংলাদেশ সরকার। যদিও শান্তিপ্রস্তাব বেশি দূর এগোয়নি।
[আরও পড়ুন: অযোধ্যায় নাবালিকাকে গণধর্ষণ! সপা নেতার বেকারিতে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ যোগীর]
সূত্রের খবর, বর্তমান অবস্থায় রবিবার জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী। সেখানে তিনি বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী হাসিনা কঠোর হাতে নৈরাজ্যবাদীদের দমন করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।