সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোহা শান্তিচুক্তিতে আল কায়দার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তালিবান (Taliban)। কিন্তু তা যে আদতে আমেরিকাকে বেকুব বানানোর ছক ছিল তা স্পষ্ট করে আফগানিস্তান জয় নিয়ে তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়েছে জেহাদি সংগঠন আল কায়দা। শুধু তাই নয়, এবার ‘ইসলামের শত্রু’দের হাত থেকে কাশ্মীরকে মুক্ত করার জন্য তালিবানকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে জেহাদি সংগঠনটি।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: সব বিমান অকেজো! কাবুল বিমানবন্দর দখল করেও ‘মহা সমস্যায়’ তালিবান]
৩০ আগস্ট রাতে কাবুল বিমানবন্দর থেকে শেষ মার্কিন বিমানটি রওনা দেয়। তারপরই ‘দেশ পূর্ণ স্বাধীনতা পেল’ বলে ঘোষণা করে তালিবান। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তালিবানকে অভিনন্দন জানিয়ে বিবৃতি জারি করে আল কায়দা। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হে আল্লা, লেভান্ত, সোমালিয়া, ইয়েমেন, কাশ্মীর ও সমস্ত মুসলিম স্থানগুলি ইসলামের শত্রুদের হাত থেকে মুক্ত করো। বিশ্বজুড়ে সমস্ত মুসলিম বন্দিদের মুক্তি দাও।” আল কায়দার এই বিবৃতি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu & Kashmir) সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা আরও বাড়ল বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে, টুইন টাওয়ার হামলায় দোষী আল কায়দা যে ফের আফগানভূমে কার্যকলাপ বৃদ্ধি করবে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে (Afghanistan) পট পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন বিশ্ব। তালিবানের হাতে কাবুলের পতনের পর থেকেই ‘গ্লোবাল জেহাদ’ বা বিশ্বজুড়ে ইসলামিক উগ্রপন্থা ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ দ্রুত হবে বলে মত বিশ্লেষকদের। আর ‘খিলাফত’ গড়ার লড়াইয়ে যে জেহাদিদের ক্রস হেয়ারে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর তা বলাই বাহুল্য। এহেন পরিস্থিতিতে আল কায়দার বয়ান ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়েছে। কয়েকদিন আগে কাশ্মীর উপত্যকায় লড়াই চালাতে তালিবানের মদত চেয়েছিল পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন।
এদিকে, মঙ্গলবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাফ জানিয়েছেন প্রয়োজনে আবারও আফগানিস্তানে ড্রোন হামলা চালাবে আমেরিকা। তালিবানের মুখের কথা নয় কাজ দেখে নীতি নির্ধারণ করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে সবমিলিয়ে, ইঙ্গিত স্পষ্ট যে আবারও আল কায়দা, জইশ ও হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জেহাদি সংগঠনগুলির চারণভূমিতে পরিণত হতে চলেছে আফগানিস্তান।