সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছে তালিবান (Taliban)। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কাবুল থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত বের করে আনতে তৎপর আমেরিকা। যখন গোটা বিশ্ব জেহাদিদের হামলার নিন্দায় মুখর। তখন তালিবান জঙ্গিদের উদ্দেশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন (China)।
[আরও পড়ুন: Afghanistan ভাবাচ্ছে ভারতকে, Taliban আগ্রাসনের মুখে আমেরিকাই বা কেন মুখ ফিরিয়ে নিল?]
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়াইং তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করার ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, “আফগানদের নিজেদের ভাগ্যনির্ধারণের অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারকে সম্মান করে চিন। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বঅপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।” বিশ্লেষকদের মতে, তলেতলে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে চিনের। আমেরিকাকে কোণঠাসা করতে পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে জঙ্গিগোষ্ঠীকে হাতিয়ার ও অর্থ জোগান দিয়েছে বেজিং। তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতির কথা মাথায় রেখেয়ে তালিবানের সঙ্গে শান্তিস্থাপনের নামে প্রকাশ্যে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। বলে রাখা ভাল, গত জুনের ২৮ তারিখ তিয়ানজিনে নয় সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই প্রতিনিধি দলে ছিল তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। চিন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আফগানিস্তানকে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুরোদমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে পূর্ব-এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
উল্লেখ্য, সোমবার কাবুলের সম্পূর্ণ দখল চলে গিয়েছে তালিবানের হাতে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে আমূল পরিবর্তন। বদলে গেল সরকার, পালটে গেল তার নামও। তালিবানদের (Taliban) দখলে আসার পর আফগানিস্তানের (Afghanistan) নতুন সরকারের নাম হতে চলেছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’। দ্রুতই এই নতুন সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করতে চলেছে জঙ্গিগোষ্ঠী। কাবুলের প্রেসিডেন্ট ভবন দখল করে বসার পর এমনই খবর জানিয়েছে তালিবানদের একাংশ। সূত্রের খবর, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, এমন এক গোষ্ঠীর মাধ্যমেই মিলেছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’ প্রতিষ্ঠার খবর। এদিকে, ভারতের মতো তালিবানের এই ক্ষমতা দখলকে মান্যতা দিতে নারাজ ব্রিটেন (UK), রাশিয়াও (Russia)।