সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনায় (Covid 19) বিপর্যস্ত চিন (China)। আক্রান্ত হচ্ছে লাখে লাখে মানুষ। হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে রোগী। শ্মশানে লম্বা লাইন। যে আতঙ্কের রেশ পৌঁছেছে ভারতে। এর মধ্যেই নাগরিকদের দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে ‘জিরো-কোভিড-নীতি’ থেকে সরে আসছে দেশটি। শি জিনপিংয়ে দেশে নতুন নির্দেশিকা জারি হয়েছে। নতুন বছরের ৮ জানুয়ারি থেকে কমছে নিভৃতবাস নিয়ে কড়াকড়ি। শিথিল হচ্ছে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের উপর চাপানো কোভিড নিয়ম।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেও কড়া লকডাউন ছিল চিনে। সরকারের দমবন্ধ করা কোভিড নীতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম। শি জিনপিংয়ের পদত্যাগেরও দাবি তোলে তাঁরা। এরপরেই বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করেছিল প্রশাসন। পথে বেরোনোর অনুমতি পায় মানুষ। সরকারি নিভৃতবাসের বদলে আক্রান্তরা নিজেদের বাড়িতে থাকার সুবিধা পান। যদিও আক্রান্তের সংখ্যায় কমতি ছিল না। এই অবস্থায় কোভিড সংক্রান্ত বিদেশ নীতিতে বদল আনল চিন সরকার।
[আরও পড়ুন: মেয়েদেরও উচ্চশিক্ষার সুযোগ চাই, দাবি তুলে আফগান ছাত্রীদের সমর্থনে ক্লাস বয়কট ছাত্রদের]
চিনে বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের কোভিড পরীক্ষা এবং দুই সপ্তাহ নিভৃতে থাকার নিয়ম মানা হত। পরে যা কমিয়ে ৫ দিন করা হয়। এবার তারও প্রয়োজন নেই। বদলে বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আসা পর্যটকদের কাছে অবারিত করা হবে চিনকে। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। সেখানে বলা হয়েছে, বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে যাঁদের জ্বর বা ফ্লু-এর মতো উপসর্গ থাকবে, তাঁদেরই শুধু কোভিড পরীক্ষা করা হবে। জানা গিয়েছে, এরপর চিনের বাসিন্দারা চিন থেকে দেশের বাইরে যেতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে কোভিড পরীক্ষার নিয়ম মানা হবে আগের মতোই।
[আরও পড়ুন: মোদিকে ফোন জেলেনস্কির, শান্তির বার্তা প্রধানমন্ত্রীর]
জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন আরও জানিয়েছে, এতদিন কোভিড পরিস্থিতিকে জরুরি ভিত্তিক এ ক্যাটাগরিতে রাখা হচ্ছিল। এখন থেকে তা তুলনায় সাধারণ বি ক্যাটাগরিতে উঠে এল। এই পর্যায়ে ডেঙ্গুর মতো রোগও রয়েছে। সেদেশের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও তা নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। কারণ ওমিক্রনের এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রাণঘাতী নয়। যেমনটা ছিল ডেল্টা।