নব্যেন্দু হাজরা: কলকাতায় এখনও চালু হয়নি, তবে জেলায় জেলায় ই-অটোর (E-Auto) চাহিদা তুঙ্গে। বছর দেড়েকের মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার বৈদ্যুতিক অটো নেমেছে রাজ্যে। বারাসাত থেকে শিলিগুড়ি সর্বত্রই ই-অটো নামানোর জন্য হুড়োহুড়ি। প্রচুর আবেদন জমাও পড়ছে। নতুন এই অটোর ব্যাটারি বাড়িতেই চার্জের ব্যবস্থা আছে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, বৈদ্যুতিক এই তিনচাকার যান এবার নামা শুরু করবে কলকাতাতেও। প্রথম পর্যায়ে ৪০০ ই-অটো নামবে মেট্রো স্টেশন কেন্দ্রিক কয়েকটি রুটে। তারপর যেখানে নতুন রুটের চাহিদা আসবে সেখানেই নামবে ই-অটো। পরিবহণ দপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, নতুন করে আর LPG অটোর পারমিট দেওয়া হবে না। কেউ আবেদন করলে তাঁকে ই-অটোই নামাতে হবে।
পরিবহণ দপ্তর সূত্রে খবর, করোনাকালের পর থেকে ই-অটোর চাহিদা সর্বত্রই বেড়েছে। সবথেকে বেশি এই বৈদ্যুতিক তিন চাকার যান নেমেছে বারাসতে। সেখানে নেমেছে ৭০০০ গাড়ি, মালদহে ৫০০০, শিলিগুড়িতে ৩৫০০, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৫০০, কোচবিহারে ২৭০০, হুগলি ২১০০, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ২০০০ এবং হাওড়াতে ১৮০০টি ই-অটো নেমেছে। দপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, চার চাকা বা অন্যান্য ই-গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বা পরিবহণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আগ্রহ না থাকলেও অটো কেনার ঝোঁক চোখে পড়ার মতো।
[আরও পড়ুন: সিআরএস ছাড়পত্রের তিন মাস পার, শিয়ালদহ মেট্রোর ভবিষ্যৎ বিশ বাঁও জলে]
এখনও রাজ্যে ৪০ হাজার ই-গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যার মধ্যে ৩৫ হাজার রয়েছে ই-অটো। এছাড়া মালবাহী তিন চাকার যান রয়েছে ৩৫, স্কুটি সাড়ে তিন হাজার এবং এবং প্রাইভেট গাড়ি ৭০৮ এবং বাস ৯৭টা। দপ্তরের আধিকারিকরাই জানাচ্ছেন, যে তথ্য দেখা যাচ্ছে তাতে পরিষ্কার যে ই-অটোর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। আর সেই অটোই এবার কলকাতা ও শহরতলির মধ্যে চলাচল করবে। উত্তর দক্ষিণ মেট্রোর দক্ষিণেশ্বর, নোয়াপাড়া, বরাহনগর থেকে এবং ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সেন্ট্রাল পার্ক, বেঙ্গল কেমিক্যাল, সল্টলেক স্টেডিয়াম, সেক্টর ফাইভ থেকে বিভিন্ন দিকে ছুটবে এই অটোগুলো।
ইতিমধ্যেই ই-গাড়ির চার্জিংয়ের জন্য ৬৬টি চার্জিং স্টেশন কলকাতাতে হয়েছে। আরও প্রায় ১০০টির বেশি হবে। আর এই চার্জিং স্টেশন ছড়িয়ে যাবে জেলাতেও। যাতে অটো হোক বা গাড়ি, চার্জ দিতে গাড়ির মালিকদের কোনও সমস্যা না হয়। তাছাড়া ই-গাড়ির উপর সাধারণ মানুষের আগ্রহ বাড়াতে রেজিস্ট্রেশন থেকে সিএফ সবক্ষেত্রেই বেশকিছু ছাড় দেওয়া রয়েছে। ফলে আধিকারিকরা মনে করছেন, যত দিন যাবে, ততই এই ই-গাড়ির প্রতি আকর্ষণ বাড়বে সাধারণ মানুষের মধ্যে।