সুব্রত বিশ্বাস: এবার ট্রেন ধরতে আসা যাত্রীদের স্টেশনে অপেক্ষা করতে ঘন্টায় দিতে হবে ত্রিশ টাকা। রেল বোর্ডের (Rail Board) যুগ্ম নির্দেশক (বাণিজ্য) আশুতোষ মিশ্র সম্প্রতি রেল জোনগুলিতে নির্দেশে জানিয়েছে, স্টেশনগুলোতে দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রতিক্ষালয়গুলি এবার বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার হবে। যার প্রক্রিয়া শুরু করা হোক। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে হয়েছে, বাতানুকূলহীন প্রতিক্ষালয়ে (AC Waiting Room) অপেক্ষা করতে যাত্রীদের ঘন্টায় দিতে হবে ত্রিশ টাকা। পাশাপাশি যাত্রীরা স্টেশনের খোলা জায়গায় এসে অপেক্ষাও করতে পারবেন না। ট্রেন ছাড়ার আধ ঘন্টা আগে মিলবে স্টেশনে ঢোকার অনুমতি। এই প্রক্রিয়া চালু করে প্রতিক্ষালয়ে যাত্রীদের যেতে বাধ্য করবে রেল বলে মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
নতুন নিয়মে ট্রেন ছাড়ার তিন ঘন্টা আগে যাত্রীরা প্রতিক্ষালয়ে আসতে পারবেন। ট্রেন ছাড়ার পর তারা তিন ঘন্টা অপেক্ষা করতে পারবেন। এজন্য ঘন্টা প্রতি ত্রিশ টাকা দিতে হবে তাকে। কয়েক বছর আগে উচ্চ শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ বাতানুকূল প্রতিক্ষালয়গুলি থেকে টাকা নেওয়া শুরু হয়। প্রতি ঘন্টায় দশ টাকা। বাতানুকূল বিহীন প্রতিক্ষালয়গুলি এতকাল বিনা পয়সায় যাত্রীরা ব্যাবহার করতে পারতেন। এখন লাগবে ঘন্টায় ত্রিশ টাকা। এখন ট্রেন বিলম্ব হলে যাত্রীরা সেই সময় বাড়তি পান, যা নতুন আইন বাতিল করা হবে। ট্রেন বিলম্বে এলেও ঘন্টা হিসেবে বাড়তি টাকা গুনতে হবে যাত্রীদের।
[আরও পড়ুন: ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুন বন্ধুর, হত্যার পর ৩০ লক্ষ টাকা দাবি আততায়ীর]
রেলের অন্দরে নতুন এই নিয়মের সমালোচনা হলেও, আগামী কিছু দিনের মধ্যে এই নিয়ম চালু হয়ে হবে বলে জানিয়েছে রেল। পূর্ব রেলের (Eastern Rail) জনৈক বাণিজ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, যাত্রীদের উপর চাপ পড়বে নিশ্চিত। তবে খরচ বাঁচাতে ও ঝামেলা এড়াতে এই ব্যবস্থা চালু হবে। এখন স্লিপারের যাত্রীদের অপেক্ষার খরচ না নেওয়া হলেও, ওই প্রতিক্ষালয়ে রক্ষণাবেক্ষণে সব দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে চালানো হয়। যেমন সাফাই থেকে যাত্রী যাতায়াতের নথি ইত্যাদি সামলায় রেল কর্মীরা। এই খরচ রেলের বাঁচবে, পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ সহ সুরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে নানা অভিযোগ ওঠে। সেগুলি থেকে নিস্তার পাবে রেল।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের কোথায় কোথায় যেতেন শুভেন্দু? গরুপাচার মামলায় পুলিশের কাছে তথ্য তলব CID’র]
নতুন এই নিয়মের পর যে বাতানুকূল প্রতিক্ষালয়ে ভাড়া দশ টাকা থেকে পঞ্চাশ ছোঁবে তা নিশ্চিত বলে রেলকর্তাদের মত। একে একে সব পরিষেবা যে বেসরকারি সংস্থার হাতে যাবে তা নিশ্চিত জেনেছেন যাত্রীরাও। হাওড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে সকালে প্রতি ঘন্টায় ওই প্রতিক্ষালয়ে অপেক্ষা করেন পঞ্চাশ থেকে ষাট জন, রাতে ত্রিশ থেকে চল্লিশে গিয়ে দাঁড়ায় যাত্রী সংখ্যা বলে হাওড়া ডিভিশন জানিয়েছেন।