সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনকে কোণঠাসা করতে উচ্চাকাঙ্খী বাণিজ্য করিডরের সম্ভাবনা খুলে গেল জি-২০ সম্মেলনে। সব ঠিক থাকলে ভবিষ্যতে সৌদি আরব-সহ মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশে রেলপথে যাতায়াত করতে পারবেন ভারতীয়রা। উলটো পক্ষের নাগরিকদের জন্যও একই সম্ভাবনা খুলে গেল। শনিবার একাধিক রাষ্ট্র এই প্রস্তাবে একমত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার যুগান্তকারী বদলের মাধ্যমে ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য এবং ভারতের বাণিজ্য বৃদ্ধি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নই লক্ষ্য।
আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী বন্দর, রেলপথ, বিদ্যুৎ, ডেটা নেটওয়ার্ক এবং হাইড্রোজেন পাইপ লাইনে মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করিডর তৈরি করতে আগ্রহী। মূল্য লক্ষ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন হলেও পাশাপাশি দীর্ঘদিনের শত্রু ইজরায়েল এবং সৌদি আরবের মধ্যে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের ভাবনাও রয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় একমত দেশগুলির আশা করছে, এর ফলে দেড়শো কোটি জনসংখ্যার ভারতের বিপুল বাজার আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যক্ষেত্র হয়ে উঠবে। লম্বা করিডরের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে উঠল চাঙ্গা হবে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনীতিও। পাশাপাশি ইজরায়েল এবং উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সম্পর্ক অনেকটাই স্বাভাবিক হবে৷
[আরও পড়ুন: ‘বোমা মেরে মানচিত্র বদলে দেব’, G-20 বৈঠকের মধ্যেই হুমকি ফোন, হুলস্থুল বারাণসী বিমানবন্দরে]
উচ্চাকাঙ্খী বাণিজ্য করিডর সম্পর্কে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মন্তব্য, “বিরাট পরিকল্পনা, ঐতিহাসিক ভাবনা।” ইউরোপীয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লেইনের বক্তব্য, “ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডর রেল ও কেবল যোগাযোগের থেকেও বড় ব্যাপার।” এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মোদির বক্তব্য, ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ অর্থনৈতিক করিডোর একসঙ্গে দেখা একাধিক দেশের একটি উজ্জ্বল স্বপ্ন। যা বাস্তবায়িত হলে ইতিহাস তৈরি হবে। এই করিডোর একাধিক মহাদেশ জুড়ে মানুষের প্রচেষ্টা এবং ঐক্যের উদাহরণ হয়ে উঠবে।