দেবব্রত মণ্ডল, গঙ্গাসাগর: করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়াতে প্রশাসনের তরফে গঙ্গাসাগর মেলায় (Gangasagar Mela) ই-স্নান চালু হয়েছে। এবার ই-স্নানের জল পাওয়ার জন্য দুবাই, লন্ডন, আমেরিকা থেকে বহু মানুষ আবেদন করেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের নির্দিষ্ট পোর্টালে সেসব আবেদন জমা পড়েছে। আর বিদেশে (Foreign) বসে ইতিমধ্যেই অনেকে পেয়ে গিয়েছেন গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল, নির্দিষ্ট কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে।
২০২০ সাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) প্রশাসন ই-স্নানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্য, গঙ্গাসাগরের এই পবিত্র জল ভারতের প্রতিটি প্রান্তে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে শুধু দেশ নয়, বিদেশ থেকেও জল পাওয়ার জন্য যথেষ্ট উৎসাহ প্রবাসী ভারতীয়রাও। মূলত যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা গঙ্গাসাগরে আসতে পারবেন না, তাঁরা বাড়িতে বসেই যাতে পবিত্র জলে স্নান সারতে পারেন, তার জন্য প্রাথমিকভাবে এই ব্যবস্থা করেছিল জেলা প্রশাসন। কিন্তু বর্তমানের কোভিড (COVID-19)পরিস্থিতিতে ই স্নানের মাধ্যমে বাড়ি বসে গঙ্গাসাগরের পবিত্র জলে স্নান করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
[আরও পড়ুন: WB Civic Polls: পিছিয়ে গেল ৪ পুরনিগমের ভোট, কলকাতা হাই কোর্টের পরামর্শকে মান্যতা নির্বাচন কমিশনের]
গঙ্গাসাগরের পবিত্র জল (Holy Water)পেতে মাত্র ১৫০ টাকা খরচ করতে হবে। তাতেই ভারতের যে কোনও প্রান্তে বসে জল পাওয়া যাবে। তবে বিদেশের জন্য অতিরিক্ত পোস্টাল চার্জ দিতে হচ্ছে সেই ক্ষেত্রে। পবিত্র জলের সঙ্গে পাওয়া যাবে প্রসাদ, সিঁদুর ও একটি বুকলেট। শুধু তাই নয়, এ বছর গঙ্গাসাগর মেলার মাটিও তাঁরা পাবেন বাড়িতে বসে, এই একই খরচায়। এ বিষয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, ”এবছর ই-স্নানের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় তিন লক্ষ মানুষ আবেদন করেছেন। দুবাই, লন্ডন, নেপাল ও আমেরিকার মানুষ আছেন এর মধ্যে।”
[আরও পড়ুন: ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ অমল আচার্যকে যেন তৃণমূলে ফেরানো না হয়, মমতাকে চিঠিতে আরজি বিধায়কদের]
কোভিড পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলাকে দর্শকদের কাছে তুলে ধরার জন্য ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে অনেক বেশি ব্যবহার করা হয়েছে এবছর। শুধু তাই নয়, ধ্যানকেন্দ্র, মিউজিয়াম – সবই ছিল মেলাজুড়ে। সাধুসন্তদের কাছে এবার ধ্যানকেন্দ্র হয়ে উঠেছে একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। যেখানে মূলত প্রতিদিন কয়েকশ সাধুসন্ত যাচ্ছেন সকাল-সন্ধ্যা ধ্যান করতে। অন্যদিকে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কয়েক কোটি মানুষ এবার গঙ্গাসাগর মেলা উপভোগ করেছেন বাড়ি বসে। প্রায় তিন কোটির অধিক মানুষ এবার গঙ্গাসাগরকে প্রত্যক্ষ করেছেন ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে। এমনই পরিসংখ্যান তুলে ধরেছে জেলা প্রশাসন।