সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার ঝাড়খণ্ডে (Jharkhand) সবুজ-সাদা বিতর্ক। সেখানে সমস্ত সরকারি স্কুলকে সবুজ-সাদায় রাঙানোর নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে ৩৫ হাজার সরকারি স্কুলে এই মর্মে নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। তাদের বক্তব্য, সবুজ ও সাদা রং শাসক দল ঝাড়খণ্ড মুক্তির মোর্চার (Jharkhand Mukti Morcha) দলীয় রং। রাজনৈতিক উদ্দেশে এই কাজ করা হয়েছে। যদিও বিজেপির যুক্ত মানতে চায়নি রাজ্য সরকার।
সরকারি স্কুলে সবুজ ও সাদা রং করার বিষয়ে রাজ্যের যুক্তি, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশে এই রং করা হচ্ছে স্কুলগুলিতে। সবুজ চোখের জন্য উপকারী রং, অন্যদিকে সাদা আসলে পরিচ্ছন্নতার প্রতিক। জানা গিয়েছে, জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের উদ্দেশে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে ঝাড়খণ্ড শিক্ষা প্রকল্প পরিষদ। নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুলে ভবনের দেওয়ালগুলিতে সাদা রং করা হবে। ওই রঙের শেষ প্রান্তে ‘বর্ডার কালার’ হিসেবে ব্যবহার করা হবে সবুজকে। এছাড়াও দরজা, জানলা ও শৌচালয়ে সবুজ রং করা হবে।
[আরও পড়ুন: পুলিশি হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিবাদে থানায় আগুন, বুলডোজার চালিয়ে ভাঙা হল অভিযুক্তদের বাড়ি]
এই বিষয়ে ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রী জগরনাথ মাহাত (Jagarnath Mahto) বলেন, “স্কুলগুলি নতুন চেহারা পাবে। চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রমাণিত সবুজ চোখের জন্য উপকারী একটি রং। অন্যদিকে সাদা পরিচ্ছন্ন ও সতেজ একটি রং।” বিজেপি অবশ্য এই যুক্ত মানতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, সবটাই আসলে রাজনীতিকরণ। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার পতাকার রংকেই এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।
রাজ্যের বিজেপি মুখপাত্র প্রতুল সাধু সহদেও (Pratul Shahdeo) বলেন, রঙের নির্দেশিকা রাজনৈতিক বার্তা ছাড়া কিছুই নয়। বহু স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই, ছাত্র অনুযায়ী শিক্ষক অপ্রতুল। সরকারের স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়নে কাজ করা উচিত।” ঝাড়খণ্ডের শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, স্কুলে যথেষ্ট কাজ হয়েছে। স্কুল আধুনিক করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে সরকার।
[আরও পড়ুন: ‘নেহরু চেয়েছিলেন অসম পাকিস্তানে যাক’, রাহুল গান্ধীকে খোঁচা দিয়ে মন্তব্য হিমন্তর]
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ভবনে (এর মধ্যে রয়েছে স্কুলও) নীল-সাদা রং নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। এরই মধ্যে গত মার্চে রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা মিশনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। সেখানে বলা হয়, সরকারি স্কুলে একই রঙের পোশাক– নীল ও সাদা ও ব্র্যান্ড ‘বিশ্ব বাংলা’র লোগোর ব্যবহার করতে হবে। ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।